ঢাকাSaturday , 27 April 2024

পাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের থেকে রসিদবিহীন অর্থ আদায়ের অভিযোগ

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩ ৯:৪৯ অপরাহ্ণ । ৬২৮ জন
link Copied

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) কয়েকটি বিভাগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফরম বাবদ অযৌক্তিক ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। আবার কিছু বিভাগে প্রত্যয়নপত্র বাবদ আদায় করা হচ্ছে অর্থ। এসব টাকা আদায় করা হচ্ছে কোন প্রকার রসিদ ছাড়াই।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলতেই এমন করা হচ্ছে। তবে বিভাগগুলোর কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থী ও বিভাগের উন্নয়নের কাজেই এসব টাকা ব্যবহার করা হয়।

জানা যায়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে স্নাতকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা ও স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরতদের কাছ থেকে ২০০ টাকা হারে আদায় করা হয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফরম বাবদ। ইংরেজি বিভাগেও একই কারনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরতদের কাছ থেকে বিভাগের অফিস থেকে ২০০ টাকা হারে আদায় করা হয়। এদিকে ইউআরপি বিভাগে প্রত্যয়ন নিতে দেওয়া লাগে প্রতি কাগজ বাবদ ৫০ টাকা হারে।

এসব টাকা না দিলে অফিস থেকে ফরম দেওয়া হয় না বলে জানান বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী। তারা আরো জানান যে, কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই আদায় করা হচ্ছে এসব অতিরিক্ত টাকা।

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বলেন, আমরা এ টাকার বিষয়ে কিছু জানি না। আমাদের যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটাই করছি। আপনি বিভাগের সভাপতির সাথে কথা বলেন।

বাংলা বিভাগের সভাপতি ড. মীর হুমায়ুন কবির জানান, টাকাগুলো বিভাগের প্রয়োজনেই খরচ করা হয়। পরীক্ষার সময়, শিক্ষার্থীদের কেউ অসুস্থ হলে, খেলাধুলা বাবদ-এরকম বিভিন্ন খাতে খরচ করা হয় এই টাকা। সংগ্রহ করা সকল অর্থের হিসাব যথাযথভাবে বিভাগে আছে। তবে এই টাকা আদায়ে শিক্ষার্থীদের কোন রসিদ দেওয়া হয় না। আমরা এ বিষয়ে মিটিং করে রসিদসহ কিভাবে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়ে আসা যায়, সেটি করবো।

ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান শায়লা আক্তার জানান, বিভাগের সুচনা থেকেই তো এই টাকা সংগ্রহ করা হয় এভাবেই। প্রশ্ন উঠলে তখন উঠত, এতদিন পর এবিষয়ে প্রশ্ন উঠার কারণ কি?

উল্লেখ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুর্বে অধিকাংশ বিভাগের অফিস থেকে এভাবে ফরম বিতরণের নামে অর্থ আদায় করা হলেও কিছু বিভাগ কর্তৃপক্ষ বন্ধ করেছে কিন্তু অনেক বিভাগ বন্ধ না করে উল্টো অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আদায় করছে।

এসআর