বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) ৩০ হাজার ২৫০ সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা-ফিফা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৯ লাখ টাকা।
জানা গেছে, গেল বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তিনটি ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনে ফিফা। পরে ঘটনা তদ্ন্ত করে বাফুফেকে জরিমানার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি। গতকাল ফিফা আনুষ্ঠানিকভাবে জরিমানার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোকে জানিয়েছে।
বাফুফে যে ফিফার জরিমানার মুখে পড়তে যাচ্ছে, তা অনুমিতই ছিল। অবশেষে সেটিই সত্য হলো। ম্যাচ কমিশনারের দেওয়া প্রতিবেদনে, যে তিনটি ম্যাচের জন্য জরিমানা গুনতে হয়েছে বাফুফেকে, তার দুটি ম্যাচ ছিল ঢাকায়, একটি মালদ্বীপের মালেতে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ছিল মালদ্বীপের মালেতে। ১২ অক্টোবর ১-১ গোলে ড্র হওয়া সেই ম্যাচে দলীয় শৃঙ্খলা (৬ ফুটবলার ব্যক্তিগতভাবে) ভঙ্গের জন্য ৫ হাজার সুইস ফ্রা জরিমানায় পড়েছে বাফুফে। শাস্তির বিবরণে বলা হয়েছে, ৬ জন খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে শৃঙ্খলা ভেঙেছেন। ফিফার শৃঙ্খলাবিধির ১৪ নম্বর ধারা ভাঙায় এই ম্যাচে ৫ হাজার সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৭০৬ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে ।
এর ৫ দিন পর ১৭ অক্টোবর মালদ্বীপের বিপক্ষে হোম ম্যাচে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সিকিউরিটি রুল ভঙ্গ করার অভিযোগ তোলা হয়। এই ম্যাচে গ্যালারিতে বসে আতশবাজি ফোটায় দর্শকরা। ফলে নিরাপত্তার জনিত কারণ দেখিয়ে ১৪ হাজার সুইস ফ্রা জরিমানা হয়। কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচের এক পর্যায়ে দর্শকও মাঠে প্রবেশ করেছিল। এই ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছে ২-১ গোলে।
জরিমানা হওয়া তৃতীয় ম্যাচটির ভেন্যুও কিংস অ্যারেনা। ২১ নভেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের হোম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় সেখানে। যে কারণে বাফুফেকে ১১ হাজার ২৫০ সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়।
তবে ১৭ অক্টোবরের কিংস অ্যারেনার ম্যাচে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে মালদ্বীপকেও। ফিফার আচরণ বিধিমালার প্রতি যথাযথ সম্মান না দেখানোর কারণে দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে সতর্ক করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত শাস্তি তালিকায় বলা হয়েছে, মালদ্বীপের ড্রেসিংরুমে অননুমোদিত প্রবেশ ঘটেছিল।
এসআর