ঢাকাTuesday , 8 October 2024
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইউনিয়ন আ.লীগের সম্পাদককে কুপিয়ে জখম; ২মাসেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

মনিরুজ্জামান মনির
মে ১৪, ২০২৪ ৪:৩৮ অপরাহ্ণ । ১৩২ জন
link Copied

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: খালেদ হাসান ওরফে হিপলু (৪৪)কে পারিবারিক কলহের জেরে কুপিয়ে হাতের আঙুল দ্বিখণ্ডিতসহ মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা করার ২মাস পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি কোন আসামী।

অপরদিকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছে মামলার বাদী। এতে উদ্বিগ্ন রয়েছে হিপলুর পরিবার। প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা ভুক্তভোগী পরিবারের।

১৪ মে ভুক্তভোগী খালেদ হাসান হিপলু সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৩ মার্চ বিকেলে মনিরুজ্জামান মুকুল এবং তার ভাগ্নে মেহেদী সহ ১৫/২০ জনের সঙ্ঘবদ্ধদল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত ভাবে আমার বসতবাড়ীতে ডুকে আমিসহ আমার পরিবারের উপর হামলা চালায়। রামদা দিয়ে আমার মাথায় কুপ মারলে আমি হাত দিয়ে বাধা দিলে আমার হাতের আঙ্গুল কেটে দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়। পরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপাইলে আমি হাত দিয়ে বাধা দিলে বাম হাতও কেটে যায় এবং রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে ফেলে চলে যায়। ওই সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মারপিট করে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় শ্রীবরদী হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাকে পাঠানো হয়। পরে আমার ভাতিজাকে শ্রীবরদী থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য পাঠালে উল্টো আমার ভাতিজাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান শ্রীবরদী থানার ওসি।

এই বিষয়ে থানা লিখিত অভিযোগ গ্রহণ না করলে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। ওই মামলায় এখনও পর্যন্ত একটি আসামিও পুলিশ গ্রেফতার করে নাই। কয়েকজন আসামী নিম্ন আদালত থেকে অস্থায়ী জামিন পান। আর বাকি আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে অবস্থান করিতেছে। তাদের মধ্যে মেহেদী নামের এক আসামি তার কানাডা প্রবাসী মামার প্রজেক্টে প্রকাশ্যে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছে। কিন্তু তথ্য দেওয়ার পরও পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করতেছে না। অপরদিকে আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন হুমকিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমি প্রকাশ্যে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। তাদের হুমকিতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমার জিবনের নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন, অসত্য। তাছাড়া অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছেন, তাদের গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এছাড়াও তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের টিম মাঠে রয়েছে।