দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বসতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বমোট ১১টি আসনে জয়লাভ করে দলটি।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জিতেছে আর স্বতন্ত্রেরা ৬২ আসনে জিতেছেন। এমন পরিস্থিতিতে সংসদের বিরোধী দল কে হবে। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিরোধী দল কার হওয়া উচিত?’ তখন ওই সাংবাদিক বলেন, দ্বিতীয় বৃহত্তম দলেরই হওয়া উচিত। এ সময় কাদের বলেন, ‘তাহলে ধরে নিন জাতীয় পার্টিই হচ্ছে।’
সব দলকেই তো মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে থাকতে হবে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের দল, তারা তো স্বাধীনতার বিপক্ষে। যে মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে না, সে স্বাধীনতায়ও বিশ্বাস করে না। কাজেই ওই রকম বিরোধিতা আমরা চাই না। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে সংসদে বিকৃতি করবে, এমন আমরা প্রত্যাশা করি না।’
রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে মিস করেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের গঠনমূলক সমালোচনায় যেটার হেল্প করেছে, সেটা হলো—তারা কিন্তু বড় বড় সমাবেশ করেছে, মিছিল করেছে, তাদেরকে আমি দুর্বল বলে উড়িয়ে দিতে চাই না। আন্দোলনের ব্যাপারে তারা সাবজেক্টিভ প্রস্তুতি গড়ে তুলতে পারেনি। তারা আগুন–সন্ত্রাসের মতো জঘন্য সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়েছে সরকার পতনের জন্য। তারা কতগুলো ট্র্যাজিক ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে সরকারের কোনো লাভ হয়নি। তাদের কী লাভ হয়েছে, জানি না, তারাই জানে।’
নৌকা জনগণের কাছে এখনও তুমুল জনপ্রিয় বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে অনেক কিছু ওপেন করে দেয়ার পরও নৌকার জনপ্রিয়তা নৌকার জায়গায় রয়েছে। নির্বাচনের ২২৩টি আসন নৌকা পেয়েছে, তাহলে কীভাবে আপনি মনে করেন, নৌকার জনপ্রিয়তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনমতের প্রতিফলন ২২৩ সিটে নৌকার জয়।’
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, পারভীন জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসআর