ঢাকাMonday , 6 May 2024

বেনাপোলে বিএনপি নেতাদের আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

জাহিদ হাসান
নভেম্বর ১১, ২০২৩ ৫:০৭ অপরাহ্ণ । ৩০৪ জন

বেনাপোলে বিএনপি নেতাদের আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

link Copied

দেশে বিরাজমান নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী বিরোধী দলীয় নেতাদের আটকের অভিযানের জেরে শীর্ষ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে বেনাপোল বাজারের একটি দোকান থেকে গোপন মিটিংরত অবস্থায় আটক করা হয়। তবে পরবর্তীতে বেনাপোলের এক শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতার সুপারিশে রফাদফার মাধ্যমে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গত শুক্রবার (১০ই নভেম্বর) রাতে বেনাপোল বাজার সংলগ্ন নৃত্যহাটের এক বিএনপি নেতার দোকানে মিটিং রত অবস্থায় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ পাঁচজন বিএনপি নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তবে অভিযোগ উঠেছে পরবর্তীতে বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নব-নির্বাচিত মেয়র নাসির উদ্দীনের তদবির মিশনে বড় অংকের টাকায় রফাদফা হয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া এর আগেও তার নামে জামায়াত বিএনপির নেতাদেরকে থানা থেকে ছাড়ানো এবং আসামী হতে নাম কাটানোর গুঞ্জন রয়েছে।

৫ জন আটককৃত বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন- বেনাপোল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর ছিদ্দীকি, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম রবি, বেনাপোল পৌর (প্রস্তাবিত) বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম (বাবু), বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান (কাটু) ও আসমত আলী।

আওয়ামী লীগের ত্যাগি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, বেনাপোল পৌর মেয়র নাসির উদ্দিন বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলেও তিনি উঠে এসেছেন জামায়ত শিবির পরিবার থেকে। উপর মহলের একাধিক প্রশাসন এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে তার সখ্যতা থাকায় তার নমিনেশন আটকে গেলেও তিনি এসকল বিষয় উপেক্ষা করেই নৌকার টিকিট এনেই মেয়র হয়েছেন।

এবিষয়ে ত্যাগি আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতায় এসেই তিনি জমায়ত বিএনপির সাথে স্বজনপ্রীতি শুরু করেছেন। এর আগেও বেনাপোল পোর্ট থানায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আটক হলেও কোন তদবির মিশনে কাজ না হওয়ায় এই ঘটনায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

এবিষয়ে মেয়র নাসির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুপারিশ তো অনেকেরই রয়েছে। তাছাড়া ওরা আমার বন্ধু হওয়ায় আমার নাম আসছে। আটককৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন রয়েছে শিক্ষক, একজন কানাডা প্রবাসী আর বাকি যারা রয়েছে এরা কি দল করে নাকি? ওরা বন্ধুরা পিকনিক করবে বলে একটা মিটিং করছিলো, পুলিশ সন্দেহভাজনভাবে আটক করেছিলো। পরে কোন সত্যতা না মেলাই ছেড়ে দিয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে অপরাজনীতির কোন দরকার নেই।

এবিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এনপি