ঢাকাWednesday , 8 May 2024

জাতীয় নির্বাচন মানেই ‘উৎসব’ কিন্তু এখন ‘দূর্ভোগ’ কেন?

আবদুর রহিম
নভেম্বর ২৩, ২০২৩ ৮:৫৫ অপরাহ্ণ । ২৩৩ জন
link Copied

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ ই জানুয়ারি ২০২৪ এ অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর বাংলাদেশের ১৮ বছরের উর্ধ্বে নারী – পুরুষ স্বাধীন ভাবে ভোট প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে থাকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে।

শান্তি প্রিয় ও সভ্য বাঙালি জাতি আবহমান কাল থেকে স্থানীয় কিংবা জাতীয় নির্বাচনে সুশৃঙ্খল ভাবে একটা উৎসবমুখর নির্মল -স্নিগ্ধ আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে ভোট প্রদান করে বিশ্বের দরবারে তাঁদের সভ্য জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরেছিল। হিংসা, প্রতিহিংসা, ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীর প্রভাবমুক্ত হয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দিতে নেতা নির্বাচনে বাঙালি জাতি প্রতিটি স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে নির্বিগ্নে আতংকমুক্ত হয়ে উৎসাহ – উদ্দীপনার সাথে অংশগ্রহণ করে থাকে।

কিন্তু বিগত বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে পক্ষপাতের কারণে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাঙালি জাতির ভোট কেন্দ্রিক ‘ভোট উৎসব ‘ ‘ভোট দূর্ভোগ’ এ পরিণত হয়েছে যা বিশ্বে সভ্য জাতি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের পরিচয়কে ম্লান করে দিচ্ছে। তাছাড়া ভোট আসলেই আনন্দ ও খুশির পরিবর্তে মানুষের মনে খুন, গুম, গ্রেপ্তার আতংকের পাশাপাশি যানবাহন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা বাড়ী ঘরে অগ্নি সংযোগের মত ঘটনার কারণে একটা আতংক কাজ করে যা কোনমতেই কাম্য নহে।

তাই আতংক নই, আমাদের প্রতিটি নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও হানাহানিমুক্ত করার লক্ষ্যে, প্রত্যেক নাগরিককে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ এবং প্রশাসনকে ভয়ভীতি – লোভ- লালসা ও লেজুড়বৃত্তি ত্যাগ করে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

আশাকরি, বাঙালি জাতি নিরপেক্ষ প্রশাসনের মাধ্যমে আতংকমুক্ত হয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশে নিবন্ধিত সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশীশক্তিমুক্ত হয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করে বিশ্বের দরবারে আবারও তাঁদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সভ্য ও সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে তুলে ধরবেন।

লেখক ও সাংবাদিক
আবদুর রহিম
rahimmalekctg@gmail.