৭ জানুয়ারি, ২০২৪ এ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২ হাজার কোটি টাকার বহুল আলোচিত সমালোচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিরোধী দলবিহীন উৎসাহ ও নিরুত্তাপ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের কোন দলটি আবারও ক্ষমতার মসনদে বসবে জনগণের কাছে তা একপ্রকার নিশ্চিত ধারণা রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের এক দলীয় সংসদে সাধারণত শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় জাতীয় সংসদের সরকারের দলীয় এমপিদের ও সরকারের মন্ত্রীদের জবাবদিহিতার গরজের বালাই থাকে না। ফলে রাষ্ট্র ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই ধরনের একদলীয় জাতীয় সংসদের সাংসদ ও দলীয় রাজনীতিবিদরা নিজেদের ইচ্ছেমত জনগণের রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট করে নিজেদের কপালকে ‘চাঁদ কপাল’ বানিয়ে ফেলে।
অপরদিকে সীমাহীন লুটপাটের কারণে রাষ্ট্রীয় সেবা সংস্থাগুলো দূর্বল হয়ে পড়ে। দূর্বল সেবা সংস্থাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার জনগণের উপর বাড়তি অর্থের বিল চাপিয়ে দেই।
চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারী থেকেও জনগণকে গুনতে হচ্ছে বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের বোঝা। গ্যাস সংকটেও বাড়তি গ্যাসের বিল। সাথে আছে নিত্যপণ্যের ঘোড়দৌড়। ফলে বাংলাদেশের মত গরীব দেশের মানুষের মনে ভোটের যে আনন্দ আর উচ্ছাস তা দিনের পর দিন পানসা হয়ে যাচ্ছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার ফলে সংসার, পরিজন পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে গিয়ে মানুষ এখন ক্লান্ত।
সুতরাং জনগণ এখন ধরেই নিয়েছে একতরফা, একদলীয় নির্বাচন মানেই রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের মাধ্যমে রাজনীতিবিদের একটা সিন্ডিকেট চক্র তৈরি হওয়া, যারা জনগণের সম্পদ লুট করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হবে অন্যদিকে দেশের সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জর্জরিত হবে। এই অশুভ শক্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করার বিকল্প নেই।
আবদুর রহিম
লেখক ও গণমাধ্যম কর্মী
rahimmalekctg@gmail