বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টার্টিং স্টেশন ময়মনসিংহ থেকে পরিবর্তন করে জামালপুরে নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ঘন্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ ঘটনায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
দাবী আদায়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ও অনুরোধে প্রায় এক ঘন্টা পর শর্তসাপেক্ষে অবরোধ কর্মসূচি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়। বিজয়ের স্টার্টিং পয়েন্ট ময়মনসিংহ স্টেশনে ফিরিয়ে আনা না হলে ৬ ডিসেম্বর বুধবার পুনরায় রেললাইন অবরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর বিজয় এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয়। প্রায় ৯ বছর পর ট্রেনটি ময়মনসিংহের বদলে জামালপুর থেকে যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিজয় এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরুর স্টেশন ময়মনসিংহের বদলে জামালপুর নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে ময়মনসিংহের সচেতন নাগরিক সমাজ। এ দাবিতে দেড় মাস ধরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন একাধিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ।
দাবী আদায়ে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ও অনুরোধে প্রায় এক ঘন্টা পর শর্তসাপেক্ষে অবরোধ কর্মসূচি সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়।
এ সময় অনশনকারীরা অবিলম্বে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টার্টিং স্টেশন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী নূরুল আমীন কালাম, বাসদ নেতা অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, শিব্বির আহমেদ লিটন, নাগরিক ব্যক্তিত্ব আলী ইউসুফ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন বিজয়ের স্মারক। এটি ময়মনসিংহবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। অথচ রেলের ডিজি নিজের ক্ষমতা অপব্যবহার করে ময়মনসিংহ থেকে বিজয় ট্রেনটি ছিনিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে বিজয় ট্রেন জামালপুরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে রেলপথে রক্ত দিতে নাগরিক সমাজ প্রস্তুত রয়েছে।
এনপি