সখিপুর-ভায়া সাগরদিঘী আঞ্চলিক সড়কের কালিয়া ইউনিয়নের বেলতলী থেকে পূর্ব দিকে ১কি.মি. জামাল হাটকুড়া এলাকায় ৯নং জামালহাটকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলোর একটি পাকা ও একটি টিনের তৈরি করা ঘরের সবগুলো শ্রেণি কক্ষ জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কোমলমতি শিশুদের পাঠ্যক্রম চলছে।
গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে ৩রুম বিশিষ্ট পুরাতন একটি পাকা ভবন থাকলেও ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়েছে কিনা-এ ব্যাপারে কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।
এদিকে বিদ্যালয়ের আঙিনার পূর্ব কোণে টিনের ঘরে একটি অফিস কক্ষ ছাড়া শ্রেণি কক্ষ গুলো খুবই আকারে ছোট। শ্রেনিকক্ষে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের সু-ব্যবস্থা না থাকায় শিশুদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা ও মানসিক বিকাশের অন্তরায় হতে পারে। বিদ্যালয় আঙ্গিনা ঘেষে পাশেই রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ পুকুর। ঐ বিদ্যালয়ে পাঠদান চলাকালে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। বিদ্যালয়ে মোট ৬জন শিক্ষকের মধ্যে একজন মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় অনুপস্থিত থাকলেও বাকিরা নিয়ম করেই পাঠদান চালাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন অভিভাবক এ প্রতিবেদককে জানান, এবছর স্কুল মাঠের কোল ঘেঁষে গভীর পুকুর খনন করায়, তা শিশুদের জন্য পানিতে পড়ে দূর্ঘটনা ঘটার হুমকি রয়েছে।অনেক অভিভাবক শিশুদের পাঠক্রমে সন্তুষ্ট থাকলেও সীমানা প্রাচীর না থাকায় মাঠের দক্ষিণে রাস্তায় শিশুদের দূর্ঘটনায় নিয়ে চরম আতংকে থাকে। ইতিমধ্যে অনেক অভিভাবক ছেলে-মেয়েদের পাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করেছে।
উপস্থিতি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আমেনা খাতুন বলেন, রোজা থাকায় উপস্থিতি একটু কম। তবে আশা করি, দু-এক দিনের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি বাড়বে।
প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দকৃত ১০৯৬ ও ১১০৭ দুটি দাগে মোট পঞ্চাশ শতাংশ জমি আছে। প্রতিষ্ঠানের জমি দাতা হামিদ সিকদারের ছেলে হালিম মিয়া (মাষ্টার)।
ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রাজিব সিকদার শ্রেণি কক্ষ জরাজীর্ণের বিষয়টি স্বীকার করেন।
তিনি আরও জানান, এলাকার সার্বিক সহযোগিতায় শ্রেণি কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। প্রতিষ্ঠানের ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
এবিষয়ে সখিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাফিউল ইসলাম বলেন, এটি ১৯৭২ সালের অত্যন্ত পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঐ বিদ্যালয়ের ভবনের ব্যাপারে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আশা রাখি, খুব শীগ্রই স্কুলের সমস্যা সমাধান হবে। স্কুল বন্ধ খোলা এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রী উপস্থিতি কম হতে পারে।