টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার লালচে মাটি সমৃদ্ধ টিলা পাহাড়। উপজেলার অধিকাংশ জমি বনবিভাগ ও ডিসি খাস। প্রতিবছর শুকনার সিজনে প্রশাসনের নাকের ডগায় লালচে টিলা পাহাড় কাটার মহোৎসব চলে। টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় সবচেয়ে বেশি মাটি কাটার এক্সেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে মাটি কাটা হয় সখিপুর উপজেলায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্ত এক ভেকু মালিক নিজে তথ্য দিলেন সখিপুর পূর্ব, পশ্চি, দক্ষিণ ও উত্তর অঞ্চলে অন্তত ১৫০/২০০ টা ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। যা পরিবেশ ও জলবায়ুর জন্য কী ভয়াবহ অবস্থা তা পরিবেশ বিদরাই ভালো বলতে পারবেন। বেশির ভাগ জায়গায় পুকুর খনন, উঁচু ভূমি সমতল করণ বা ফসলি জমি সংস্কারের নামে কৃষককে ভুলভাল বুঝিয়ে মাটি কেটে নেয় মাটি ব্যবসায়ীরা। এতে পরিবেশ ও ফসলি জমি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সাথে হচ্ছে ভূমির শ্রেণী পরিবর্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভেকু মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় সাধারণ লোকেরা প্রতিবাদও করতে পারেন না। টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানানোর পরেও অজ্ঞাত কারণে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
কৃষি গবেষকেরা বলেন, জমির উপরিভাগ ভালো ফসল উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। যখন কোনো ফসলি জমির উপরিভাগ কেটে ফেলা হয়, তখন ওই জমিতে ভালো ফলনের আশা করা যায় না। এই ক্ষতি পোষাতে সময় লাগে ৭-৮ বছর। কোনো জমিতে মাটি কেটে যখন কাঁচা-পাকা রাস্তা দিয়ে ভারী ট্রাক্টরে বহন করে নিয়ে যায়, তখন রাস্তাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া এভাবে মাটি কাটা দণ্ডনীয় অপরাধ। ট্রাফিক ট্রাক্টর দিয়ে মাটি নেওয়ার কারণে রাস্তাঘাটের অবস্থাও চলাচলের উপযোগী হয়ে পড়ছে।