কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাংয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে সাবরাং দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক আবু আহমদ প্রকাশ আবুল হুজুরের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মাওলানা আবু আহমদ সাবরাং ইউপির ২নং ওয়ার্ড আলীর ডেইল গ্রামের বাসিন্দা। এ দুর্ঘটনায় মাওলানা আবু আহমদ প্রকাশ আবুল হুজুরের অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ছিদ্দিক আহমদ।
তিনি বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে হঠাৎ করে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে মৌলভী আবু আহমদের ঘরে আগুন লাগে এবং মুহূর্তেই তার বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ সময় ঘরের মধ্যে থাকা মালামাল ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার ধারণা এতে পরিবারটির অন্তত ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, আলীর ডেইলএলাকার মৌলভী আবু আহমদের বাড়িতে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতা ভয়াবহ হওয়ায় স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ফায়ার সার্ভিসের দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পুড়ে যাওয়া বসতঘরের মালিক মাওলানা আবু আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, আমার বাড়ির ছাউনীর উপর দিয়ে বিদ্যুৎতের মেইন তার চালিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লোকজন। অনেক বার নিষেধ করার পর ও তা শুনে নাই।গত বছর ও এভাবে তার সর্ট খেয়েছিল। অনেক অভিযোগ দেওয়ার পর ও তার সরিয়ে নেয়া হয়নি, টাকা দিলে তার সরানো হবে বলে জানিয়েছেন অফিসের লোকজন। আমি গরিব মানুষ সামান্য বেতনে চাকরি করি, আমি টাকা দিবো কি করে। পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতির কারণে আমার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সাবরাং পল্লী বিদ্যুতের সাব-সেন্টারের ইনচার্জ মাফিজুর রহমান জানান, আলীর ডেইল এলাকার মাওলানা আবু আহমদের বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে যায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, আগুনের সূত্রপাত কোথাও থেকে সঠিক জানা যায়নি তবে পরিবারের দাবি বিদ্যুৎতের তার থেকে। আমি এখানে নতুন এসেছি, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
টেকনাফ স্টেশন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মুকুল নাথ জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে ওই বসতঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। আগুনের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঘরটিতে মালামালসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার জিনিসপত্র ছিল।