ঢাকাMonday , 20 May 2024
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সখিপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা কারাগারে

মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম
মার্চ ২১, ২০২৪ ৪:৪৭ অপরাহ্ণ । ২২ জন
link Copied

টাঙ্গাইলের সখিপুরে বহুল আলোচিত সেই প্রবাসীর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায়,বহুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা কারাগারে।

বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল সখিপুর (আমলী) আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট নওরিন করিম, আসামি সরকার নূরে আলম মুক্তা ও তার সহযোগী আসামি রুবেল মিয়াকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী এডঃ এস,এম ফায়জুর রহমানের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের, তিনি জানান আজ দুপুরের দিকে আসামি সরকার নূরে আলম মুক্তা ও রুবেল মিয়া আদালতে আত্নসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।দীর্ঘ শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে আটকে রাখার আদেশ দেন।

এটা নারী নির্যাতন ধারায় আসছে কি-না,এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী জানান,এটা একটি সাধারণ মারপিট ও ছিনতাই ধারায় মামলা হিসেবে থানা পুলিশ রেকর্ড ভূক্ত করেন।এ ক্ষেত্রে বাদীপক্ষ ইচ্ছে করলে বিজ্ঞ নারী নির্যাতন বিশেষ আদালতে মামলাটি পূনরায় রুজু করতে পারবেন। যেহেতু ঘটনাটি বহুল আলোচিত ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি নির্যাতনের সরাসরি প্রমাণ ভিডিও ফুটেজ আছে, সেহেতু এ ধারায় মামলটি করতেই পারবেন বাদীপক্ষ।

উল্লেখ্য যে, বিগত ২ মার্চ একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সখিপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড জেলখানা মোড় এলাকায়,বহুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার নিজ বাসভবনে তার নিজ হাতে পাশ্ববর্তী এক ভাড়াটিয়া দুবাই প্রবাসী লাভলু মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।নির্যাতনের সময় কে বা কারা উক্ত নির্যাতনের ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন। সেই নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

এদিকে নির্যাতনের শিকার ওই নারী সেইদিনই সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন, একই রাতে সখিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন প্রবাসী লাভলু মিয়ার গ্রামের বাড়ি বহুরিয়া ইউনিয়ন ভুক্ত কালিদাস বাজারে স্থানীয়রা সরকার নূরে আলম মুক্তার শাস্তির দাবীতে প্রধান সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি সরকার নূরে আলম মুক্তা একজন প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায়, ভুক্তভোগী নির্যাতনের শিকার নারীর লিখিত অভিযোগটি সখিপুর থানা পুলিশ আমলে নিতে বেশ কয়েকদিন গড়িমসি করেন।এদিকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম সাহেব হাসপাতালে সেই নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ান, স্থানীয় ইউএনও সাহেবকে চেয়ারম্যানর এমন ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করাসহ ৭ দিনের আলটিমেটাম দেন ও স্মারকলিপি প্রদান করেন।

পরে দীর্ঘ প্রায় ১০ দিন পর নির্যাতনের শিকার অভিযোগকারী জেসমিন আক্তার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ছাড়া পেলে, ওইদিনই সখিপুর থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করেন বলে জানান মামলার বাদী জেসমিন আক্তার। সখিপুর উপজেলা জনপ্রতিনিধিদের সভাপতি সখিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু বলে, আইনের বিরুদ্ধে যাওয়ার আমার কোন সুযোগ নেই, আইনগতভাবে যা হবে তাই।