ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়ার বেলপুকুর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে দুইজনের এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পশ্চিম কলাকান্তপুর গ্রামের ইনসাব আলী (৭০), তার ছেলে আইয়ুব আলী লাবু (৩২) ও মেয়ে পারভিন বেগম (৩৫), ইনসাব আলীর নাতনি রাজশাহীর শাহ মখদুম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শারমিন (১৮) ও একই উপজেলার মকিমপুর গ্রামের তোফা উদ্দিনের ছেলে সিএনজি চালক মোখলেসুর রহমান (৪০)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিক্সাটি যাত্রী নিয়ে সপরিবারে কেমো থেরাপি দেওয়ার জন্য রাজশাহী পপুলার হাসপাতালে যাচ্ছিল। এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা টিসিবির পণ্যবাহী একটি ট্রাক নাটোরে যাচ্ছিল। মহাসড়কের পুঠিয়া অংশের বেলপুকুর এলাকায় এলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন পরে রাজশাহী মেডিক্যালে তিনজনসহ মোট ৫জনের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় পরিবার ও এলাকায় চলছে শোকের মাতম। কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
ইনসাবের বড় ছেলে নিহত শারমিনের বাবা আবু সাইদ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, তার বাবার ৬ পুর্বে শরীরে ক্যান্সার ধরা পরে। বাবাকে ক্যামো থেরাপী দিতে তার আপন ভাই, বোন ও কন্যাসহ ৪জনকে সিএনজি ভাড়া করে রাজশাহীতে পাঠান। কিন্ত দুপুর তিনটার দিকে শুনতে পান সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারে চারজনই মারা গেছেন।
চ্যাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের সম্পর্কে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহদের মরদেহগুলো প্রক্রিয়া শেষে বাসায় এলে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে। ঘটনাটি অত্যান্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক।
এমএএম/এসআর