ঢাকাTuesday , 10 September 2024
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি

তৌহিদুল ইসলাম সরকার
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪ ৪:১৩ অপরাহ্ণ । ১০৬ জন
link Copied

সর্বোত্তই হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে, ময়মনসিংহের নান্দাইলের বিভিন্ন রোডের চালক, যাত্রী ও পথচারীসহ সাধারণ মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন রোডে প্রায়শই চলন্ত বাস-ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে জোরপূর্বক টাকা আদায় এখানে যেন নিত্যদিনের ঘটনা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় হাতি দিয়ে টাকা তোলার ঘটনা চোখে পড়ে।

টাকা দেওয়ার কবল থেকে মুক্ত নয় রাস্তার পাশের দোকানিরাও। হাতিকে টাকা দেওয়া ছাড়া কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনা সামনে দিয়ে। এটা এক প্রকার নিরব চাঁদাবাজী বলেও উল্লেখ করেন পথচারীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার সদর নান্দাইল বাজার অলিগলিতে চাঁদা তোলা শুরু করে,নান্দাইল হাসপাতাল মোড়, আচার গাঁও আনন্দবাজার, কলেজ গেইট মোড়,খালপাড় বাজার, সিংদই আবাল ধনী বাজারসহ, জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের রায়পাশা কালীর বাজারে, রায়পাশা বট্রপুর বাজার ও বটতলা মোড় এলাকায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করতে করতে সন্ধ্যায় রাস্তা দিয়ে দক্ষিণ দিকে জাহাঙ্গীরপুর অভিমুখে যাচ্ছে দুই যুবক। তবে একজন যুবক হাতির সামনে দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে, এবং আরেক জন হাতির উপরে থাকা যুবকের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার নাম নয়ন তাঁরা বাড়ি সিলেট।

উপজেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম সড়কের মাঝে যানবাহন থামিয়ে ইচ্ছে মতো টাকা আদায় করছেন তারা।টাকা দেওয়া ছাড়া কোনোভাবেই তার বাধা অতিক্রম করতে পার ছিলনা চালকরা। কেউ কেউ হাতিকে এড়িয়ে যেতে দ্রুতগতিতে বিপদজনকভাবে রাস্তার পাশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতেও দেখা গেছে। টাকা না দিলে হাতি দিয়ে ভয় দেখানোর মৌখিক অভিযোগও পাওয়া গেছে।

রায়পাশা কালীর বাজার মোড়ের ব্যবসায়ীক মনোহারি দোকানের দুলাল মিয়া ও কাপড় ব্যবসায়ী সজিব মিষ্টি দোকানে বাদল মিয়া তারা বলেন আমাদের প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে ১০ টাকা করে নিয়ে গেছে।

বটতলা ভুক্তভোগী অটোচালক সজিব জানান, আমার কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে গেছে।আমরা ব্যস্ত সড়কে বিপদজনক হাতি দেখতে চাইনা। বনের প্রাণী বনে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

আরেক অটোচালক রিনজন বলেন, হাতিকে টাকা না দিয়ে দ্রুত সামনে চলে যেতে চেয়েছিলাম। হাতির ভয়ে যাত্রীরা হুড়াহুড়ি করতে গিয়ে আমার অটোটা প্রায় পড়েই গিয়েছিল।

তবে হাতির পরিচালক নয়ন তাঁরা এটাকে চাঁদাবাজি মানতে নারাজ। তিনি বলন, সার্কাস বন্ধ থাকায় হাতিকে লালন-পালন করতে মানুষের কাছ থেকে ১০-২০ টাকা চেয়ে নিচ্ছেন। কেউ না দিলে তার ব্যাপারে কোনো জোরাজুরি নেই।