চট্টগ্রাম ১১ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৩ বারের সাংসদ আবদুল লতিফকে চতুর্থ বারের মত মনোনয়ন দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সাংসদ আবদুল লতিফের এই মনোনয়নের বিরুদ্ধে নেমেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ।
গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় সাংসদ আবদুল লতিফকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে (শোকজ) করে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সাংসদ লতিফের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, তিনি কয়েকদিন আগে এক মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়কে ‘কাশিমবাজার কুঠি’ এবং মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের ‘ফ্রিডম পার্টির লোক’ বলে অভিহিত করে মহানগর নেতৃবৃন্দের সন্মানহানি করেছেন।
এই ছাড়া সাংসদ আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে ‘দলবিরোধী’ কার্যকলাপ তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছেও আজ বৃহস্পতিবার চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর আওয়ামী লীগ।
তাছাড়া সভায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে ‘ছিন্নমূল’ সম্বোধন করার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে মৌখিকভাবে ব্যাখা তলবেরও সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর কমিটির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। সভায় নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এনপি