চট্টগ্রাম ১১ ( বন্দর – পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের তিন বারের সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী নেতা আবদুল লতিফের নৌকা প্রতীকে চতুর্থবারের মতো মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দু- ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। একপক্ষ সমর্থন করছেন নৌকার প্রার্থী আবদুল লতিফ এমপি অন্যপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমনকে। নৌকার প্রার্থী ৩ বারের সাংসদ আবদুল লতিফ ও আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়িয়ে মাঠেও বিরোধে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এদিকে গতকাল চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া দিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী তাঁর বাসায় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমনকে সমর্থন দেন তিনি।এই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শফর আলী, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো.ইলিয়াস, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো.হাসান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য শেখ নওশেদ সারোয়ার, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোরশেদ আলী, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.আজাদ, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.হাসান মুন্না প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম -১১ সংসদীয় আসনের বর্তমান নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এম এ লতিফকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন৷ লতিফকে ঠেকাতে একাট্টা হয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। শুধু মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীই নন, এর আগে সুমনকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিতে দেখা গেছে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনও।