ঢাকাTuesday , 10 December 2024
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের ন্যায় ভুটানও উপকৃত হবে

রফিকুল হক রফিক
মার্চ ১০, ২০২৪ ১০:১৮ অপরাহ্ণ । ১৭৬ জন
link Copied

কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে দুদিনের সফরে এসেছেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল।

রবিবার ১০ মার্চ দুপুরে উপজেলার ভোগডাঙা ধরলার পাড় সৈয়দ ফজলুল করিম জামিয়া রহঃ ইসলামিয়া মাদ্রাসার পাশে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্ডাস্ট্রি ভুটানের ডিজি চ্যামিটেসরিন,চিপ ট্রেড অফিসার কিনলে ইয়াংজন, ভুটানের ঢাকা এ্যম্বাসির কাউন্সিলর জিকরেল টাসরিন, বেজার মহানব্যবস্থাপক (অর্থ বাজেট) শেখ মোঃ যোবায়েদ হোসেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, ভোগডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল বলেন,অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে এ জায়গাটি প্রাথমিকভাবে নির্ধারন করা হয়েছে।আমার বিশ্বাস এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ভুটান উপকৃত হবে। আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, কুড়িগ্রাম দরিদ্র ও বেকারত্ব জনগোষ্ঠীকে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি একটি মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে।আমরা চাই দ্রুত এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু হোক।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, আমরা ১৩৩.৯২ একর জমি বেজার কাছে হস্তান্তর করেছি।আরো ৮৬ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব আছে।জেলায় সোনাহাট স্থল বন্দর, তুরাগ স্থল বন্দর চিলমারী নৌবন্দর ও পাওয়ার স্টেশন কাছে থাকায় এটি মোটামুটি উপযুক্ত স্থান।সরকার আশা করছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে শিক্ষা সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।আমরা এটির বাস্তবায়নে চেষ্টা করছি।

উল্লেখ যে, কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের মাধবরাম মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১৩৩ দশমিক ৯২ একর খাস জমি অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। ধরলা ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার উত্তর-পূর্ব দিকে এই খাস জমির অবস্থান। প্রয়োজনে ওই স্থানে জমি অধিগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।আর এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ভুটানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।এছাড়া জেলার সোনাহাট স্থল বন্দরের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে।এতে জেলার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।