শেরপুর জেলা ছাত্রদলের নয় কমিটি ঘিরে ছাত্রদলের একাংশের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সরকার পতনের আন্দোলনের সময় কাউকে না জানিয়ে হঠাৎ কমিটি ভেঙ্গে দেওয়াকে আত্মঘাতি বলেছেন কেউ কেউ। ক্ষোভ প্রকাশ কারিদের দাবী কমিটি নিয়ে বাণিজ্য হয়েছে। এখানে ছাত্রদলের সক্রিয় কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার মত কোন কারণ নেই। কমিটির অপর পক্ষের অংশের দাবী যারা আন্দোলনে নিক্রিয় তাদের বাদ দিয়ে অল্প সময়ের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত কমিটি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আন্দোলন গতিশীল হবে।যারা এখন আন্দোলনে থাকবে তারাই আগামি দিনে নেতৃত্ব দিবেন। নতুন কমিটি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।
৩ ডিসেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত ৮ সদস্য বিশিষ্ট শেরপুর জেলা ছাত্রদলের একটি কমিটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই জেলা ছাত্রদলে শুরু হয় এই মনোমালিন্য।
গতকাল ৪ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শওকত হোসেন অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদিক সন্মেলনের বিষয় বস্তুর লিখিত ভাবে জেলার সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়।
বক্তব্যে শওকত বলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হজরত আলী দলে একক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করতেই একক সিদ্ধান্তে জেলা ছাত্রদল ভেঙ্গে দিয়ে অনুগতদের দিয়ে পকেট কমিটি করেছেন। এমন সিদ্ধান্তে ছাত্রদলে বিবাদ সৃষ্ঠি করা হলো। এতে আন্দোলন ব্যাহত হতে পারে।শওকত আরও বলেন কমিটি করতে অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলার একাধিক বিএনপি নেতা এই কমিটির ব্যাপারে বলেন, নতুন কমিটি গঠন করে এখন নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ না বাড়ালেই ভাল হতো। অন্য নেতারা বলেছেন দলকে আরও গতিশীল করতে যা করা দরকার তাই করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হযরত আলী বলেছেন ছাত্রদলের কমিটির বিষয়ে কেন্দ্র কারও মতামত নেয় না। যার সক্রিয় তাদের দিয়ে কমিটি করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় কমিটি এখানের ছাত্রদলকে আন্দোলনে সক্রিয় দেখেনি তাই এমন করা হয়েছে। যার বাদ পড়েছে তাদের অন্য কমিটিতে স্থলাভিষিক্ত করে আন্দোলন বেগবান করা হবে। এখানে টাকা পয়সার কোন বিষয় নেই যোগ্যরাই কমিটিতে আসবে। আর এই কমিটির ব্যাপারে আমার কোন মতামত নেওয়া হয়নি।সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। কমিটি থেকে বাদ পড়লেই নানা গনমাধ্যমে বিষোধাগার দলের প্রতি এক রকম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন এই নেতা।
জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেছেন আন্দোলনের এই অবস্থায় কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া ঠিক হয়নি। এতে দলের গ্রুপিং বাড়বে।রুবেলের দাবী ভেঙ্গে দেওয়া ছাত্রদল মামলা হামলা জেল জুলুম নিয়ে মাঠেই আছে তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত, এটা বোঝলাম না। এখন কমিটি নয় আন্দোলনে মনোনিবেশ করা উচিৎ। এক দফা আন্দোলন কালিন কমিটিতে টাকার খেলা হয়েছে দাবী করে এই নেতা বলেন স্বাভাবিক সময়ে সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভাল হতো। এনিয়ে আমার সাথে কেউ কোন কথা বলেনি। এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই হতাশ হয়েছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই নেতা।