কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি বলেছেন, কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই। আমাদের জিডিপির শতকরা ৮০ ভাগ কৃষক পর্যায়ে, কৃষিখাত থেকে আসে। জিডিপির গ্রোথ বৃদ্ধি করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার আয়োজনে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকরা যে ফসল উৎপাদন করে সেটা যেনো শতভাগ সফল ভাবে, পন্য হিসাবে বাজারে বিক্রি করতে পারে। মূল্য যাতে সঠিক পেতে পারে কৃষকরা তাহলেই হবে আমাদের সকলের সফলতা অর্জন।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পিছনে একটা সিন্ডিকেট কাজ করে, এই সিন্ডিকেট আবার শুদ্ধ ভাষায় ব্যবহার হয়। এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য আমি পদ্ধতি খুঁজছি, কোন পদ্ধতিতে ভাঙ্গা যায়। সেটা ঢাকায়ও বলেছি, এখনও বলবো। আর শ্রীমঙ্গলের যারা ব্যবসায়ী আছেন, তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে, সবাইকে নিয়ে বসে আলোচনা করতে। তারা বলেছে শ্রীমঙ্গলের দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করবে না। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যাবে, ভাঙ্গার ব্যাপারে ভয় নাই। ভয় তাদেরই যারা মজুদ করে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যে উন্নয়ন বাকি রয়েছে, এই পাঁচ বছরের ভিতর সমস্ত উন্নয়ন করতে পারবো বলে আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। আপনারা জানেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের মানুষ প্রত্যেকটি গ্রাম পর্যায়ে রয়েছে। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ভালো বীজের প্রয়োজন। যে সমস্ত উপকরণের প্রয়োজন, কোন অবস্থাতেই এখানে কার্পণ্য হবে না। এবং যতটুকু প্রয়োজন বা বেশী দেওয়ার ব্যবস্থা আমি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে পারি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার পৌর চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক জগৎজ্যোতি ধর শুভ্র, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. এএসএম আজাদুর রহমান আজাদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে ফারজানা প্রমুখ।
আরএ/এসআর