কুড়িগ্রাম শহরের ভেলাকোপায় একটি অটো ফ্লাওয়ার মিলের ক্ষতির চেষ্টা করা হলেও প্রতিকার পাচ্ছে না ব্যবসায়ী পরিবারটি। বারংবার পরিবারটির উপর হামলা করা হচ্ছে। এছাড়াও দেয়াল ঘেঁষে গভীর গর্ত করায় ধ্বসে পড়েছে সীমানা দেয়াল। এখন ঝুঁকিতে রয়েছে ফ্যাক্টরীর মুল ভবন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম পৌরসভাধীন ভেলাকোপা গ্রামে অবস্থিত সুফিয়া অটো ফ্লাওয়ার মিলসটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলী ও তার ৫ পূত্র বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। বিশেষ করে তার বড় ছেলে জেএমবি মামলায় জেল খেটে আসা রশিদুল ইসলাম কারণে অকারণে প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে মারপিটসহ
জোড়পূর্বক চাঁদা আদায় করছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে আদালত থেকে জামিনে এসে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে পরিবারটি। তারা মিলটি ধ্বংস করতে দেয়াল ঘেঁষে গভীর গর্ত করায় ইতিমধ্যে পূর্বদিকের দেয়াল ধ্বসে পরেছে। ফাঁটল দেখা দিয়েছে মুল ভবণের দেয়ালেও। এনিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছে না মিলের মালিক সাইফুদ্দিন ইসলাম এ্যাপোলো।
মিলটির কর্মচারী মোঃ রাশেদ জানান, আমিসহ প্রতিষ্ঠানে ৪০/৪৫জন কর্মচারী কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। ইচ্ছে করে মিলের দেয়াল ঘেঁষে বিশাল গর্ত করে রাখছে তারা।এর ফলে মিলের সীমানা দেয়াল ভেঙে পড়েছে এছাড়া মুল ভবনে ফাটল ধরেছে। যে কোন মুহুর্তে বড় রকমের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা শ্রমিক কর্মচারিরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলীর ছেলে জানান, আমাদের জমিতে আমরা গর্ত দিয়েছি। ওরা মিল দেওয়ার সময় আমাদের সাথে কোন পরামর্শ করে নাই। মিলের জায়গায় ছেড়ে গর্ত করেছি এতে সমস্যা কি?
মালিক সাইফুদ্দিন ইসলাম এ্যাপোলো বলেন, এ ঘটনায় জেলার সব দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন কাজ হচ্ছে না। ওরা ইচ্ছে করে গর্ত করে রেখেছে। ইতিমধ্যে মিলের প্রাচীর ভেঙে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। মুল ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে দ্রুত যদি এর সমাধান না হয় আমি নিঃস্ব হয়ে যাবো।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।