কক্সবাজারের পেকুয়ায় শ্রেণি পরিবর্তন করে তিন ফসলি ৫০ একর ধানি জমিতে তৈরী করা হচ্ছে লবণ মাঠ। একটি প্রভাবশালী চক্র সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি ছাড়াই দুইটি গভীর নলকূপ বসিয়ে লবণ মাঠ তৈরীতে ব্যস্ত রয়েছে। এনিয়ে দুইটি পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জমির মালিকপক্ষ। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিষেধ করলেও মানছেনা তাঁরা। সদর ইউনিয়নের জালিয়াখালী স্কুলঘোনা বিলে চলছে লবণ মাঠ প্রস্তুতের এসব কার্যক্রম।
সদর বকসুচৌকিদার পাড়ার শাহজাহান বলেন, ওই বিলে আমাদের প্রায় ৭ একর জমি রয়েছে। তিন ফসলি জমি। শত বছর ধরে আমরা এসব জমিতে ধান উৎপাদন করি। ইউএনও ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। জিয়াবুল নামের এক ব্যক্তি এসবে জড়িত। কারো কথাও শুনছেনা ওই চক্র। এখন উল্টো প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে।
লবণ মাঠ প্রস্তুতির সাথে জড়িত জিয়াবুল করিম জানান, নলকূপ আমি বসিয়েছি। জমির মালিকরাই নিজদের জমিতে ধানের পরিবর্তে লবণ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইউপির সদস্য নুরুল আজিম বলেন, জিয়াবুল ৩নংওয়ার্ডের বাসিন্দা। কিন্তু আমার ওয়ার্ডে এসে পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ করছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অবশ্যই জনস্বার্থ বিরোধী যেকোন কাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনইউ/এসআর