টেকনাফে শাহপরীরদ্বীপ সমুদ্র সৈকতে ১২২কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ কাছিমের হ্যাচারী থেকে এসব বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকুলে ২০ বছর ধরে কাছিম ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে কাজ করছে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) ইউএসআইডির আর্থিক সহযোগিতায় নেকম ইকো লাইফ প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি বছরে শাহ পরীর দ্বীপ বিচে ১টি কচ্ছপের হ্যাচারি স্থাপন করে ২ জন গার্ডের মাধ্যমে এ যাবত ৩১ টি কাছিম থেকে ৩৭৪০ট ডিম সংরক্ষণ করা হয়েছে।
শাহ পরীর দ্বীপ কাছিমের হ্যাচারীতে বিগত ৭/১/২০২৪ ইং তারিখে ১৩০টি কাছিমের সংরক্ষিত ডিম হতে ১২২ টি বাচ্ছা প্রস্ফুটিত হয়। বাচ্চা গুলো শনিবার বিকেলে শাহপরীর দ্বীপ সাগরে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহপরীর দ্বীপ বিট কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম, শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া ভিসিজির সভাপতি মোঃ সালামত উল্লাহ, খুরেরমুখ ভিসিজির সভাপতি সুলতান আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ,হ্যাচারী গার্ড আলী জোহর, নেকম ইকো লাইফ প্রকল্পের মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন অফিসার মোঃ শরিফ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বাংলা ও সমুদ্র কন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুর রহমান বিএ অনার্স এম এ।
শাহ পরীর দ্বীপ মাঝের পাড়া গ্রাম সংরক্ষণ দলের সভাপতি সালামত উল্লাহ বলেন যে, অপরিকল্পিত পর্যটন ও স্থাপনা, বনায়ন, কুকুর- শিয়ালের আক্রমণ, বালিয়াড়ি ধবংস, সমুদ্রতীরে বৈদ্যতিক বাতির ব্যবহারসহ মানব সমাজের নানা অসচেতনমূলক কর্মকাণ্ডের কারনে কাছিমের নিরাপদ ডিম পাড়ার স্থান বিনষ্ট ও হুমকির মুখে পড়েছে।
তাছাড়া সাগরে টানা জাল, ভাসমান জাল, কারেন্ট জাল এবং পরিত্যক্ত জালের কারণে প্রজননক্ষেত্র অনিরাপদ হয়ে। পড়েছে। অলিভ রিডলিকে প্রাকৃতিক কারণে নিজ জন্মভূমিতে ডিম পাড়তে আসতে হয় বলেই সমস্ত বাধা পেরিয়ে সাগড় পাড়ে এসে ডিম পাড়ে। কিন্তু হক্সবিল ও গ্রিন টার্টলের এ প্রবনতা নেই বলে তারা অনিরাপদ এড়িয়ে চলে। চলতি প্রজনন মৌসুমে (নভেম্বর থেকে মার্চ) সমুদ্র সৈকতে শুধু অলিভ রিডলি ডিম পাড়তে আসে।