পুর্ব শত্রুতার জেরে কক্সবাজারের পেকুয়ায় জাকের হোসেন (৪০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। যার মামলা নং-০১/২৩।
পুলিশ মামলার প্রধান আসামি আবদুল জলিলকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে আহতের স্ত্রী নাহারু বেগম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। আহত জাকের হোসেন ওরফে মিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিনাফাঁড়ি এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও সদর ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। গ্রেপ্তার আবদুল জলিল একই এলাকার শকির আলমের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জাকের হোসেন সদর ৪নং ওয়ার্ড আ.লীগের সহ সভাপতি। বুধবার রাতে পেকুয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। জয়নালের বাড়ির সামনে পৌঁছালে এসময় হামলাকারীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে জাকের হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
স্থানীয়রা জানায়,গত মাসখানেক আগে চট্টগ্রামের পটিয়ায় নলকুপ স্থাপন কাজে যায় হরিনাফাঁড়ি এলাকার মনির উদ্দিনসহ ৫জন ব্যক্তি। তাঁরা সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা বাজার পাড়া এলাকার টিপু সোলতানের টিউবওয়েল স্থাপন কাজে শ্রমিকের কাজ করতেন। বকেয়া বেতনের টাকার লেনদেন নিয়ে তাদের সাথে টিপুর বাকবিতন্ডা হয়।
এর জেরে টিউবওয়েল স্থাপনের কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করে রাখে মনির, ছরফরাজ,পুতু, তারেক, মানিক, মিরাজ। জাকের টিপুর পক্ষ হয়ে মনির গংদের সাথে বিরোধে জড়ান। এর জেরে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আবদুল জলিলের পিতা শকির আলম বলেন, সমাজের সর্দার আমার বাড়িতে টিপুর কিছু যন্ত্রপাতি জিম্মায় রাখে। জাকের হোসেন মাস্তানি করে মালামালগুলো নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে এসে দুজনকে কোপায়। এসময় মারপিটে জাকেরও আহত হয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এনইউ/এসআর








