কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য এবং ভোক্তা পর্যায়ে শীতকালীন শাকসবজি সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছথেকে সরাসরি ন্যায়্যমূল্যে শাকসবজি কিনে তা কমদামে বিক্রির ব্যবস্থা করেছে সরকার দলীয় এই ছাত্রসংগঠন।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুড়িগ্রামের খলিলগগ্জ বাজারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শাক সবজি সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সরাসরি কৃষকের জমি থেকে বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি পাইকারি দরে কিনে এনে খলিলগঞ্জ বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিপিচ লাউ ২০টাকা, প্রতিকেজি ফুলকপি ২০টাকা, মুলা ২০ টাকা ও প্রতি আঁটি বিভিন্ন প্রকার শাক ১ থেকে ২ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। আজ প্রথম দিনে ৫ শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে এসব সবজি বিক্রি করা হয়।
খলিলগঞ্জ এলাকার রিকশা চালক আলী আকবর বলেন, আজ কমদামে বিভিন্ন প্রকার সবজি বাজারে পেয়ে সবগুলো কম কম করে কিনেছি। এখানে যদি প্রতিদিন পাওয়া যায় তাহলে এখান থেকেই কাঁচাবাজার কিনবো। এরকম বাজার হওয়ার কারণে আমার মত অনেক মানুষের উপকার হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন নয়ন বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে আমরা এই কর্মসুচী আজ থেকে শুরু করেছি।
তিনি আরও জানান,আমরা সরাসরি আমাদের কৃষকের জমি থেকে বিভিন্ন শাক সবজি পাইকারি দরে কিনে এনে ওই দরেই বিক্রি করছি বাজারে। সিন্ডিকেট তৈরি করে বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটি ভাঙতেই এই কর্মসুচী চলমান থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে এ কর্মসুচী চালু করবো। কৃষকরা যেন তাদের ফসলের সঠিক মূল্য পায়, ও ক্রেতারাও যেন সঠিক দামে কিনতে পারে এই উদ্দেশ্যেই মূলত কাজটি করা হচ্ছে।
এনপি