ঢাকাWednesday , 15 May 2024
  • অন্যান্য

২০৫ রানের লিড নিয়ে ইতিহাস গড়লেন শান্ত

খেলা ডেস্ক
নভেম্বর ৩০, ২০২৩ ৬:৫৮ অপরাহ্ণ । ৭১ জন
link Copied

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের লিড ২০৫ রানের।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন জাকির হাসান। এমন সময়ে উইকেটে এসে দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ৮ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার।

২৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলেন শান্ত। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে ৯০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক। ৪০ রান করে মুমিনুল ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। ততক্ষণে অবশ্য আরেক প্রান্তে ব্যক্তিগত ফিফটি পূরণ করেছেন শান্ত।

এখানেই থেমে থাকেননি। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন শান্ত। যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে কখনো কেউ করতে পারেনি।

শান্তর অপরাজিত সেঞ্চুরিতে তৃতিয় দিনটা নিজের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। দিনশেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তুলেছে তারা। শান্ত অপরাজিত আছনে ১০৪ রান করে। অপর অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকের সংগ্রহ ৪৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লিড এখন ২০৫ রানের, হাতে আছে ৭ উইকেট।

এর আগে দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। কিউইরা পিছিয়ে ছিল ৪৪ রানে। স্বীকৃত ব্যাটার বলতে কেউই নেই।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ছোট করে হলেও লিড পেতে যাচ্ছে, ধরে নিয়েছিলেন সমর্থকরা। তবে তাদের সেই আশায় গুঁড়েবালি। কাইল জেমিসন আর টিম সাউদির মতো লোয়ার অর্ডার দুই ব্যাটার নবম উইকেটে দলকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ ৫২ রান।

নবম উইকেটে টিম সাউদি আর কাইল জেমিসনের এই জুটিটাই ক্ষতি করে দিলো বাংলাদেশের। নাহলে টাইগাররা প্রথম ইনিংসে লিড পেতে পারতো।

সেটি হয়নি। তবে নিউজিল্যান্ডও যে বড় লিড নিয়েছে, তা নয়। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানের জবাবে ১০১.৫ ওভার খেলে ৩১৭ রানে অলআউট হয়েছে কিউইরা। তাদের লিড ৭ রানের।

তৃতীয় দিনের সকালে প্রথম ঘণ্টা অনায়াসেই পার করে দেন সাউদি আর জেমিসন। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। অবশেষে ট্রাম্পকার্ড মুমিনুল হকের হাত ধরেই সাফল্য পায় টাইগাররা। এক ওভারে জেমিসনকে (২৩) এলবিডব্লিউ আর সাউদিকে (৩৫) বোল্ড করেন বাঁহাতি এই পার্টটাইম স্পিনার।

তাইজুল ইসলাম ১০৯ রানে ৪ উইকেট আর মুমিনুল হক ৪ রানে নেন ৩টি উইকেট।

এসআর