ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
বুধবার রাতে উত্তরাঞ্চলীয় কিব্বুৎজ শহরের মানারা সীমান্তে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অবস্থান লক্ষ্য করে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। খবর জেরুজালেম পোস্টের।
আইডিএফ বলেছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশে ছোড়া এই ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরাইলের সামরিক চৌকির কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের উৎস লক্ষ্য করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে পাল্টা গোলাবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী।
এর আগে, ইসরাইলের ছোড়া একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি জানায় হিজবুল্লাহ।
এ ছাড়াও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলের মাউন্ট ডভ ওও হারমন এলাকায় কয়েকটি রকেট নিক্ষেপ করে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র এই গোষ্ঠী। তবে সব রকেটই খোলা জায়গায় পড়েছে।
ইসরাইলের আর্টিলারি বাহিনী লেবাননের ভূখণ্ডে হিজবুল্লাহর অবস্থানে পাল্টা গোলাবর্ষণ করেছে।
৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের শুরু থেকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে লেবাননের এই সশস্ত্রগোষ্ঠী।
হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর সীমান্ত সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪৯ জন যোদ্ধা নিহত ও আরও ৪৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।
গত ২৬ দিন ধরে গাজায় অব্যাহতভাবে বোমা ছুড়ে যাচ্ছে ইসরাইলি দখলদাররা। এছাড়া গত ২৮ অক্টোবর থেকে তারা স্থল অভিযানও শুরু করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় ৯ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারানোর পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৩২ হাজার।
এছাড়া আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২ হাজার ৬০০ জন নিখোঁজ থাকার তথ্য পেয়েছে। যার মধ্যে শিশু হলো ১ হাজার ১৫০ জন। এসব শিশু হয় নিখোঁজ রয়েছে অথবা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে।
শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার ইসরাইলের হামলায় ২৫৬ বেসামরিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এনপি