সাভারে চাঁদাবাজির সময় আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবক দিনাজপুর জেলার চিনির বন্দর থানার হাসিমপুর মহল্লার মনসুর আলীর ছেলে।
বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানা পুলিশ। এর আগে, মঙ্গলবার রাতে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের ভরসা মার্কেটের সামনে চাঁদা উত্তলনের সময় স্থানীয়রা ওই চাঁদাবাজকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাভারের বিরুলিয়া রোডের ভরসা মার্কেটের সামনের রাস্তার পাশে দোকান বসিয়ে ও বিভিন্ন অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল একটি চক্র।
সোমবার সকালে ঢাকা ১৯ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিক সম্মেলন করে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার ঘোষণা দেওয়ার পরদিন মঙ্গলবার মাইকে সাভার আশুলিয়ার পাড়া মহল্লায় চাঁদাবাজদেরকে চাঁদা না দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপরও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য কমে নি। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও ফুটপাতের পাশের প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদার টাকা উত্তোলন করেছিলেন আব্দুর রাজ্জাকসহ চক্রটির ৪/৫ জন সদস্য। তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মোকলেস নামে এক ফল ব্যবসায়ীকে মারতে উদ্যত হয় ও জোরপূর্বক ৭০ টাকা চাঁদা নেন।
এ ঘটনায় আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় চাঁদাবাজ রাজ্জাককে হাতেনাতে আটক করেন ভুক্তভোগী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে এই চাঁদাবাজকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে চাঁদা হিসেবে উত্তোলন করা ২২৪০ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রাজ্জাক জানান, আক্রাইনের চেয়ারম্যান সেলিম মন্ডলের ভাই রুবেল মন্ডলের নিয়মিত চাঁদার টাকা তিনি কালেকশন করেন। ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান থেকে ৪০, ৭০ ও ২০০ টাকা হারে চাঁদা উঠাতেন। এমনকি কোনো কোনো দোকান থেকে ৩০০ টাকা হারেও চাঁদা তুলতেন বলেও জানান ভুক্তভোগীরা। প্রতিটি অটোরিকশা থেকে ১০ টাকা করে দিনে দুইবার তুলতেন চাঁদা। তবে জানা যায়, রিকশাওয়ালাদের কাছ থেকে শাহীন নামে চাঁদা তুলতেন আর দোকানীদের কাছ থেকে রাজ্জাক নাম ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত চাঁদা আদায় করতেন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, আটকৃতকে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।