ময়মনসিংহের ত্রিশালে আলোচিত মাটি খুঁড়ে বের করা নারী ও দুই শিশুর মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন- আমেনা বেগম (২৫) এবং তার দুই ছেলে আবু বক্কর (৪) ও আনাস (২)। আমেনা খাতুন উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে।
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার দিন মঙ্গলবার দিন রাতেই আমেনা খাতুনের মা হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরো জানান, ৬ বছর আগে মামাতো ভাই আলী হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় আমেনার। আলী হোসেন উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। ঘটনার পর থেকে আলী হোসেন পলাতক। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তিন মরদেহ পুলিশ নিয়ে হাসিনা খাতুনের বাড়িতে দাফন-কাফনের পক্রিয়া চলছে।
নিহত আমেনা খাতুনের মা হাসিনা খাতুন জানান, আলী হোসেন অলস প্রকৃতির লোক। যে কারণে কোনো কাজ না করে বেকার থাকতেন। তার স্ত্রী আমেনা মানুষের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালাতেন। সম্প্রতি এনজিও থেকে টাকা তুলেন আমেনা। এনজিওর কিস্তি দেওয়া নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গত ১৬ মে এনজিওর কিস্তি নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। পরে ওই দিনই স্ত্রী আমেনাকে ঢাকায় কাজে নেওয়ার কথা বলে দুই ছেলেসহ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আলী হোসেন। এরপর থেকে আলী হোসেন ও আমেনার ফোন বন্ধ ছিল।
পুলিশের ধারণা, ঢাকায় নেওয়ার কথা বলে আলী হোসেন তার স্ত্রী ও দুই সন্তানদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করে বাড়ির পাশে নির্জনস্থানে মাটির গর্তে পুঁতে রাখেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামে এক নির্জন স্থানে শিয়ালের টানাহেচড়ায় এক নারী ও দুই শিশুকে মাটিতে পুঁতে রাখার সন্ধান পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।