নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা উজ্জ্বল বিশ্বাসের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্কের সুবাদে এবার শার্শার এক ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ী সেলিম হোসেনের চেকটি ডিজঅনার করে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন থানায় জিডি করেছেন।
জিডি সূত্রে জানা যায়, নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা কালু বিশ্বাসের ছেলে উজ্জ্বল বিশ্বাস (৩৪) ব্যবসায়িক কাজে যশোর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। একই জেলার শার্শা উপজেলার নাভারন বাজারে ‘তানিষা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি টিভি-ফ্রিজের দোকান আছে জনৈক মো. সেলিম হোসেনের (৪১)।
সেলিম হোসেন শার্শা উপজেলার দক্ষিণ বুরুজ বাগান এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে। উজ্জ্বল বিশ্বাসের জেলার কোতোয়ালি থানার পালবাড়ী মোড়ে ‘ওয়েব ভিশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে তার নিকট থেকে টিভি-ফ্রিজ কেনার অনুরোধ করেন। উজ্জ্বল বিশ্বাস একসাথে অনেক টিভি-ফ্রিজ সেলিম হোসেনের প্রতিষ্ঠানে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি পাঁচ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করে। পরবর্তীতে উজ্জ্বল বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহকৃত পণ্য সেলিম হোসেনকে প্রদান করতে থাকেন।
এছাড়া তার কোম্পানির টিভির গ্যারান্টি বাবদ সিকিউরিটি মানি সেলিম হোসেনের কাছে রাখার কথা। কিন্তু ব্যবসায়িক লেনদেনের পাওনা দুই লাখ পঁয়তাল্লিশ হাজার ছয়শ চৌষট্টি টাকা গ্রহণ না করে সেলিম হোসেনের পাঁচ লক্ষ টাকার চেকটি ১৫ লক্ষ টাকা বানিয়ে চেক ডিজঅনার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর পাঁয়তারা করছে। অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন সময় ফোনে চাপ প্রয়োগ করছে। এছাড়া বিভিন্নভাবে ক্ষতি করবে বলেও উজ্জ্বল বিশ্বাস ফোনে সেলিম হোসেনকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। উজ্জ্বল বিশ্বাস তার কাছে থাকা চেক দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে গত বছরের ৫ নভেম্বর সেলিম হোসেন শার্শা থানায় একটি জিডি করেছেন,জিডি নং ২১২।
এর আগে যশোর পুলিশ লাইনের রিজার্ভ অফিসে কর্মরত এক সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক ও তার ভাই প্রতারক উজ্জ্বল বিশ্বাসের ফাঁদে পড়ে কয়েক লাখ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।