শান্তিগঞ্জে হঠাৎ করে গরু চুরি বৃদ্ধি পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত দশ দিনের ব্যবধানে পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের ৪ টি বাড়ীতে গরু চুরি সংঘটিত হয়েছে। সংঘবদ্ধ গরু চোরেরা ডিজিটাল কায়দায় শব্দবিহীন গোয়াল ঘরের তালা কেটে গরু চুরিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এতে আতঙ্কে আছেন খামারী ও এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দশ দিনের ব্যবধানে পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের পিঠাপশী গ্রামের আব্দুল খালিকের ২ টি, নাজিমপুর গ্রামের ৮টি ও মনবেগ গ্রামের আবুল কালামের ৫ টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ গরু চোরেরা। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোথাও গরুগুলি খোঁজে পাননি ভোক্তভোগীরা। সর্বশেষ গত শনিবার মনবেগ আবুল কালামের ৫ টি গরু রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। এছাড়া এর আগে পিঠাপশী গ্রামের পার্শবর্তী জালিয়া গ্রামের মশাহিদ আলীর ৪ টি গরু চুরি হয়। এই চুরির বিষয়ে ৯ মার্চ পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের মনবেগ গ্রামের মৃত ফয়াজ আলীর ছেলে বাদী হয়ে তার ৫ টি গরু চুরির বিষয়ে অজ্ঞাত চোরদের বিরুদ্ধে শান্তিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
সাধারণ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মার্চ শুক্রবার দিনগত রাতে প্রতিদিনের ন্যয় গোয়াল ঘরে ৭ টি গরু রেখে ঘরের দরজা তালাবদ্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। রাত আনুমানিক ১২ টা থেকে ৪ ঘটিকার মধ্যে অজ্ঞাতনামা চোরেরা গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে অভিযোগকারীর ২ টি কালো ও ২ টি লাল রঙ্গের ষাড় এবং ১ টি কালো রঙ্গের গাভীসহ মোট ৫ টি গরু নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য চার লক্ষ টাকা। সম্ভাব্য কয়েকটি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও গরুগুলোর সন্ধান না পেয়ে নিরুপায় হয়ে থানায় জিডি করেন তিনি।
ভোক্তভোগী আবুল কালাম জানান, আমি একজন অসহায় দিনমজুর। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে গরু মোটাতাজা করে ঈদের সময় বিক্রি করি। গরু বিক্রির আয়ের টাকা দিয়ে সংসার চালাই। এখন আমার ৫ টি গরু চুরি হওয়ায় আমি নি:স্ব। এই গরুগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন জানান, গরু চুরির বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে এবং তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিট পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব গরু চোর চক্রের সদস্যদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হবে এবং গরুগুলো উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
এসএস/এসআর