ঢাকাSaturday , 27 July 2024
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির অপেক্ষায় বাণিজ্য মেলা

বাংলা ডেস্ক
জানুয়ারি ১৪, ২০২৪ ১০:১২ অপরাহ্ণ । ১০৪ জন
link Copied

প্রধান ফটকের সামনেই রং তুলির আচড়ে লাল সবুজে রাঙ্গানো বঙ্গবন্ধুর মোড়াল। পেছনে উড়ছে বাহারী রংয়ের পতাকা। শতশত বৈদ্যুতিক খুঁটির জ্বলমলে আলোয় ৭৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ একর জায়গার উপর গড়ে ওঠা সুবিশাল ভবন ও আশপাশের সৌন্দর্য্যে আকৃষ্ট করছে দর্শনার্থীদের। পাশেই সাড়িবদ্ধভাবে তৈরি হয়েছে নান্দদিক ডিজাইনের বড়সড় কোম্পানির স্টলগুলো। আর সেগুলোকে সাজানো হবে বাহারী পন্যের সমাহারে। কিন্তু বানিজ্য মেলার ২৮তম আসরের অধিকাংশ স্টল প্রস্তুত হলেও অনুমোদন না পাওয়ায় ক্রয়-বিক্রয় শুরু করতে পারছে না স্টল মালিকরা। কারণ একটাই বাণিজ্য মেলার অনুমোদন আটকে আছে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।

আন্তজাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যেই উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে মেলার উদ্বোধনের অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি অনুমতি দিলেই মেলার উদ্বোধনের প্রস্তুতি শুরু করা হবে বলে জানান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান। মেলার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে একথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রবেশের টিকিট মূল্যের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে স্টল-প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ও বরাদ্দ ব্যয়। এরই মধ্যে ৯ ক্যাটাগরিতে ৭২টি প্যাভিলিয়ন, ২৬০টি স্টল আর ৩০টি রেস্তোরা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি প্যাভিলিয়ন পেতে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়েছে উদ্যোক্তাদের, স্টলে ৪ লাখ টাকা থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আর রেস্তোরা নিতে ইপিবিকে দিতে হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে ১৭ লাখ টাকা। প্রতিটিতে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে ৭টি বুথ বসানোর অনুমতি নিয়েছে কয়েকটি ব্যাংক। বিনোদনের জন্য মেলায় থাকবে একটি শিশুপার্ক। যেটির বরাদ্দ মিলেছে ১৭ লাখ টাকায়। আর প্রবেশ টিকিট মূল্য বড়দের জন্য ৫০ টাকা আর ছোটদের জন্য ২৫টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুড়ে জানা যায়, অন্যান্য বছরের মতই একই সময়ে মেলার স্টল বরাদ্দ পায় স্টল মালিকরা। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী পরিবেশ বিবেচনা করে ১৫ দিন পিছিয়ে ১৫ই জানুয়ারি সম্ভাব্য মেলার দিনক্ষণ ধরে স্টল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে প্রায় অধিকাংশ স্টল নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হলেও মেলার উদ্বোধনের নির্ধারিত কোন দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। তাতে দিধাধন্ধে স্টল মালিক-শ্রমিকরা।

স্টল মালিকরা জানান, প্রতিবছর ১লা জানুয়ারি মেলা শুরু হয়। সে হিসেবে একমাসের জন্য দোকানে বিক্রয় প্রতিনিধি, ম্যানেজারসহ বিভিন্ন পদে লোকবল নিয়োগ দেই। তাদের থাকার জন্য একমাসের বাসা ভাড়া নেই। এবারের মেলায়ও লোকবল নিয়োগ দিয়েছি কিন্তু কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত তারা কাজ করবে এখনো আমাদের অজানা।

এসএম/এসআর