আসন্ন রমজানে সরকারিভাবে বড় ধরনের ইফতার পার্টি না করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
একই সঙ্গে বেসরকারিভাবেও এ ধরনের ইফতার পার্টি আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করার কথা বলেছেন তিনি। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান।
তিনি বলেন, বেসরকারিভাবে ইফতার পার্টি না করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কারও যদি এ ধরনের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা থাকে তাহলে যেন সেই অর্থে খাদ্য কিনে গরিব মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বড় পরিসরে ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা কেন দিয়েছেন- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইফতার পার্টি করারইবা কারণ কী, এটি কি বলতে পারেন?
এরপর সাংবাদিকরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানান, এর আগে করা হয়েছে, অনেকে ধর্মীয়ভাবেও এটি পালন করেন। তখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি কখনোই ধর্মীয় ইস্যু নয়, আমরা তো পার্টি করছি।
মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের আরও বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে আমরা যেন অপচয় না করি। আমরা যেন লোক দেখানো কার্যক্রমে নিজেদের নিয়োজিত না করি। তার বদলে ওই টাকাটা যদি আপনি কারও কল্যাণে ব্যবহার করতে চান, গরিব মানুষ যাদের টার্গেট করলেন তাদের আপনি বিলিয়ে দিতে পারেন। আমি-আপনি বসে খেলাম, ওখানে অনেক খাদ্যের অপচয় হলো, অর্থের অপচয় হলো এটার তো ধর্মীয় দিক থেকেও যুক্তি থাকতে পারে না।
এদিকে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ বা ১৩ মার্চ থেকে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হবে।
এছাড়া, মন্ত্রিসভার বৈঠকে অন্য বছরগুলোর মতো এবারও রমজান মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
এসআর