ঢাকাSaturday , 27 July 2024
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি: ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ দিল ভোক্তা অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৯, ২০২৩ ৫:১৫ অপরাহ্ণ । ১০৩ জন
link Copied

প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করায় খলিল গোস্ত বিতানকে ধন্যবাদ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি অযৌক্তিকভাবে দাম বেশি রাখা এবং মূল্য তালিকা না টানানোর অপরাধে তিনটি মাংসের দোকানকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর কাওরান বাজার, শাহজাহানপুর বাজার এবং শান্তিনগর বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি টিম। অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান, সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাতে অধিদপ্তরের ৪ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৪ টি টিম বাজার অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক গরুর মাংসের দামের উপর ‘বিশেষ বাজার অভিযান’ পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের শুরুতে রাজধানীর কাওরানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, অযৌক্তিকভাবে, অধিক মুনাফায় ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দুটি দোকানে মূল্য তালিকা টানানো ছিল না। এই অপরাধে দুটি দোকানকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরে রাজধানীর শাহজাহানপুরে খলিল গোস্ত বিতানে এসে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তরতাজা গরু এবং ভালো মানের মাংস বিক্রি করা হচ্ছে এই দামে। ৫৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেও ভালো মুনাফা থাকছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।

ন্যায্য মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করায় খলিল গোস্ত বিতানের মালিককে ধন্যবাদ জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আজ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দেখলাম গরুর মাংস বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। ৭২০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া অনেক ব্যবসায়ী যথাযথ প্রক্রিয়ায় মূল্য তালিকা প্রদর্শন করেনি। আমরা ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করা জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি মাংস বা গরু ক্রয় করার যে ম্যামো বা রশিদ সংগ্রহে রাখতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, শাহজাহানপুরের এই দোকানসহ রাজধানীর আরও কিছু এলাকায় গরুর মাংস ৫৯৫ টাকা বা ৬০০ টাকার মধ্যে প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম- ৫৯৫ টাকা কেজি বিক্রি করেও যথেষ্ট পরিমাণ লাভ থাকছে ব্যবসায়ীদের। তাহলে একই মাংস বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন দামে বিক্রি হবে, এটা হতে পারে না। সামঞ্জস্য থাকা দরকার। ভোক্তারা যাতে প্রতারিত না হন, এজন্য মূলত ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নির্দেশনা দিয়েছেন- রাজধানীর প্রতিটি মাংসের বাজার পরিদর্শন করে যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ দর নির্ধারণ করতে পারি। সেটি ৬০০ টাকা কেজি হতে পারে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ৫৯৫ টাকায় যে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে সেটি অনেক ভালো এবং ফ্রেশ। যেসব ব্যবসায়ী ৬০০ টাকা বা তার কমে গরুর মাংস বিক্রি করছে সেসব ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ।

পরে রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে একটি মাংসের দোকানে মূল্য তালিকা টানানো না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং ঐ বাজারে ৬০০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এসআর