মসজিদ মাদ্রাসার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শেরপুরে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, আওয়ামীলীগ নেতা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুখলেসুর রহমান আকন্দের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
শনিবার বিকেলে শহরের টাউন হল মোড়স্থ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে মৌখিক বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান আকন্দ।
এ সময় তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পরে একটি পক্ষ আমার সাথে নানাভাবে ঝামেলা সৃষ্টি করছে। স্থানীয় অষ্টমীতলাস্থ আশরাফিয়া জামে মসজিদ, কাছিমুল উলুম হুসাইনিয়া মাদ্রাসা এবং স্থানীয় কবরস্থান কমিটির সভাপতির পদ থেকে বাদ দেয়ার জন্য হুমকি-হুমকি দিয়ে আসছিল।এক পর্যায়ে গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুমা আমি পূর্বের কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি করতে যাই। এ সময় স্থানীয় স্বপন, আজাহার আলী, আব্দুল মজিদ, সোহেল আবু সাঈদসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালায়। এ সময় আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং গায়ের পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলে।
এদিকে আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা আমার সহযোগী আইনজীবী ও ভাতিজা মো.রাসেল রহমান আকন্দের উপরও চড়াও হয় তারা। এ সময় তাকেও কিল ঘুষি দিয়ে আহত করে। সেই সাথে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।এই ঘটনার পর আমি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দদেরকে অবগত করি।
সেই সাথে এ বিষয়ে পরবর্তীতে ২০ এপ্রিল দুপুরে আমি শেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করি।কিন্তু এখন পর্যন্ত শেরপুর সদর থানা পুলিশ এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।তাই সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও এ ঘটনার সাথে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আহত অ্যাডভোকেট রাসেল রহমান আকন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের একজন আজাহার আলী বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কাল্পনিক অভিযোগ করছে তারা। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানায়, দুই পক্ষের দু'টি পৃথক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।