আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহে ডাক টিকেট প্রদর্শনী ও শিশু কিশোর মিলনমেলা এবং স্মারক খাম ও বিশেষ সিলমোহর অবমুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহ পোস্টাল বিভাগের আয়োজনে নিজ দপ্তরে এ ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
বাংলাদেশের সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে একটি সেবাধর্মী সরকারের প্রতিষ্ঠান হল বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে বিপুল জনগোষ্ঠীর সেবা প্রদানের জন্য ডাক বিভাগ হল একমাত্র সরকারি ডাক সেবা প্রদানকারী সংস্থা। এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহে এই প্রথম বিভিন্ন ধরনের ডাক টিকিট প্রদর্শনী করা হয়। প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু,কর্ণফুলী টানেলসহ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বিশেষ স্থাপনা ও জাতির পিতা শেখ মজিবুর রহমান,ভাষা শহিদগণ ও জাতীয় চার নেতাসহ বিশেষ ব্যক্তিবর্গদের প্রতিকৃতি সম্বলিত ডাক টিকেট প্রদর্শনী করা হয়। এ থেকে দর্শনার্থীরা দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনা ও বিশেষ ব্যক্তিবর্গদের সম্বন্ধে জানার সুযোগ পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মোঃ আকবর হোসেন বলেন, ইদানিং আমাদের দেশে ডাক টিকেট প্রদর্শনীর মত গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশে এসব আয়োজনের চর্চা থাকলেও আমাদের দেশে এর ধারাবাহিকতা খুবই কম। তবে আমাদের ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে পরবর্তী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার জন্য এসব আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ডাক ও ডাক টিকেট এই বিষয়গুলো জানা মানে নিজের দেশকে জানা। এই বিষয়গুলোর সাথে আমাদের দেশের অনেক ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে আমাদের এ প্রজন্ম দেশের ডাক ও ডাক টিকেট নিয়ে খুব বেশি অবগত নয়। তাই ডাক ও ডাক টিকেট এইসব বিষয়গুলো পরবর্তী প্রজন্ম কে অবগত করার জন্য হলেও এইসব প্রদর্শনী অনুষ্ঠান খুবই প্রয়োজন। স্কুল ও কলেজ পরিসরে এইসব আয়োজন জন্য তিনি তখন আহ্বান জানান।এসময় প্রধান অতিথি ১০ টাকার মূল্যের স্মারক খাম ও বিশেষ সিলমোহর অবমুক্ত করেন।একই সময় প্রধান অতিথির উপস্থিতিতে অন্তর্জাতিক মাতৃভাষ দিবস উপলক্ষ্যে আলজেরিয়া কর্তৃক প্রকাশিত বিশেষ ডাকটিকিট নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।
এছাড়া প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিত্রাংকন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে চিত্রাংকন অনুষ্ঠানের বিজয়ীরা প্রধান অতিথির হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।