জেনোসাইড এর স্বীকৃতি পেতে নতুন একটি সেল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে 'বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে গণহত্যা : আন্তুর্জাতিক স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ' শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি আলোচনা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা যারা বেঁচে আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে ভিজুয়াল ডকুমেন্টেশন করা সম্ভব। একাত্তরের স্বীকৃতিকে গুরুত্ব জানিয়ে তা নিয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫২ বছরেও একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি না পাওয়াকে এর কারণ হিসেবে মনে করেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান তাদের পুনর্বাসিত করেছেন। গোলাম আযম পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে এসে এখানে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। এভাবে জেনোসাইডের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল যেমন- শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করেছেন জিয়াউর রহমান। দেশে অনেক রাজনীতিবিদ থাকার পরও এ কাজ করেছেন তিনি। যিনি জেনোসাইডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল।
সেমিনারে খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে ড. হাসান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আড়াল করার অপচেষ্টা করেছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, মোট ৮০ টি দেশ ও ৩২ টি আন্তর্জাতিক সংগঠন নতুন সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবার জন্য বর্তমান সরকারের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন তারা।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এনপি