দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দু'বেলা খাবার জোগাড় করতে আজ হিমসিম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষদের। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, সড়ক-মহাসড়কসহ দেশে বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প সরকার বাস্তববায়ক করেছে এইকথা অস্বীকার করার উপায় নেই কিন্তু প্রবাসীদের রেমিট্যান্স ও রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসলেও এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কষ্টার্জিত এই অর্থ বিদেশে পাচার করে ব্যাংকগুলোর ভল্ট শূন্য করে দিচ্ছে। আর এইক্ষেত্রে সরকার অর্থ পাচারকারীদের ধরতে ব্যর্থ। অর্থের অভাবে বিনিয়োগ মন্দায় নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি না হওয়া, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দেশের নিম্ন বিত্তরা সঞ্চয় ভেঙে খাওয়া শুরু দিয়ে এখন এমন এক পর্যায়ে এসেছে, 'মা' তাঁর নাকফুল বিক্রি করে জামা কিনছে ঈদে সন্তানের আবদার মিটাতে
প্রিয় পাঠক, এই সত্য ঘটনা নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করে দুঃখ প্রকাশ করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (৮৬-৯১) ও বর্তমান নগর আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহীম আরসেনী গতকাল ২৭ মার্চ তাঁর ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন, 'আমার বাড়ির পার্শ্বে এক স্বর্ণের দোকানে বসা অবস্থায় দেখলাম, এক নিম্ন আয়ের মহিলা স্বর্ণের দোকানদারকে নিজের নাক থেকে 'নাকফুল' খুলে ২৩ শত টাকায় বিক্রি করে দোকানীকে বলে উঠলো, ভাইয়া আর কিছু টাকা বাড়িয়ে দেন কারণ এই নাকফুলের টাকা দিয়ে আমি আমার বাবুর জন্য ঈদের জামা ক্রয় করবো। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরো লিখেন, এই দৃশ্য দেখে আমার চোখে পানি চলে এল।
তিনি লেখেন, মানুষের হাতে টাকা নেই, খাবার ক্রয করবে কি করে? বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের একজন নেতা হয়েও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের বর্তমান বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। সত্য তুলে ধরার জন্য তাঁকে আমি দৈনিক বাংলাপত্রিকা'র পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই এবং এই চিত্রটি কিন্তু আজ সারাদেশের মধ্য ও নিম্ন বিত্তের। সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে আজ নীরব কান্নার হাহাকার।