ঘন কুয়াশার দাপট, হিমশীতল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে জন জীবন কাহিল হয়ে পরেড়ছে। রাত থেকে শুরু করে সকাল ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টির ফোঁটার মতো শিশির পড়ছে। দেখা মিলছে না সূর্যের।
বৃহস্পতিবার (১১ জানয়ারি) সকাল ৯টায় দিনাজপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ২ নটস।
এদিকে রাত ও দিনে তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিনের চেয়ে রাতে অনেক বেশী ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রাম ও মানুষেরা খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ও শহরের দরিদ্র মানুষ শুকনো ময়লা আবর্জনা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কাজে বের হতে পারছেন না।
বীরগঞ্জ উপজেলার ২ নং পলাশ বাড়ী ইউনিয়নের নন্দাই গ্রামের আজিজার রহমান (৫০) বলেন, ঠান্ডায় অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। হাতে তেমন টাকা পয়সা না থাকায় শীতের পুরানো কাপড় কিনতে পারিনি। খুব কষ্ট করে দিন কাটাতে হচ্ছে। দিনে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি।
একই গ্রামের পারুলে বেগম (৩৫) বলেন, শীতের জন্য মাঠেও কাজ করা যাচ্ছেনা। সরকার থেকে শীতের কাপড়ও দেয়না। গরীব মানুষ এই শীতে কেমন করে বাঁচব আল্লাহই জানে।
দিনাজপুর শহরের সষ্টিতলা মোড়ে বিরল থেকে কাজের সন্ধ্যানে আসা আবুল হোসেন বলেন, গ্রামে খড়কুটো জ্বারিয়ে শীত নিবারন করি। আর শহরে এসে ময়লা আবর্জনা, চীপস ও বিস্কুটের প্যাকেটসহ ময়লা আবর্জনা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করি। শীতে কাজ না পেয়ে বৃহস্পতিবার তিনদিন ধরে ফিরে যাচ্ছি। শীতে কাজও নেই।
দিনাজপুর আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গত মঙ্গললবার (৯ জানুয়ারি) চেয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) তাপামাত্রা ৪ ডিগ্রি কমে ১১ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমেছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দিনাজপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন, শীত আরও কমে বৃষ্টি হতে পারে।
এএইচএম/এসআর