আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনে (সাভার-আশুলিয়া) স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোঃ তৌহিদ জং মুরাদের একটি অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় (ক্যাম্প) এ হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের দুই সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে পৌর এলাকার দিলখুশাবাগ এবং মজিদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাংলাদেশ হকার্স লীগ সাভার উপজেলা শাখার কোষাধক্ষ্য মো: রিপন মিয়া ও সাভার পৌর হকার্স লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম। তারা উভয়ে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের সমর্থক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোঃ তৌহিদ জং মুরাদের মজিদপুর ও সাভার বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় (ক্যাম্প) এ হামলা ও ভাংচুর করে ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয়। আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের (নৌকা) সমর্থক রিপন মিয়া ও নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রসহ ওই কার্যালয়ে হামলা চালায়। এই ঘটনায় তালুকদার মো: তৌহিদ জং মুরাদের পক্ষের পৃথক দুই স্থানের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ের কর্মী-সমর্থকরা আহত হয়। এ সময় ভাংচুরের পাশাপাশি এলাকায় সাধারণ ভোটারদেরও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে হামলাকারীরা। এই ঘটনায় মুরাদ জংয়ের সমর্থক আব্দুল কাদির মোল্লা বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, রিপন মিয়া ও নজরুল ইসলাম এজাহারভূক্ত আসামী। তাদের গ্রেফতারের পর শুক্রবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এদিকে পৃথক আরেকটি ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোঃ তৌহিদ জং মুরাদ এবং মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় (ক্যাম্প) এ হামলা ও ভাংচুর ও বিভিন্নভাবে হুমকির অভিযোগের প্রেক্ষিত্রে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রদল নেতাসহ ৩ জনকে তলব করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক ৩টি নোটিশের মাধ্যমে অভিযুক্তদের তলব করা হয়েছে।
নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেল, সাভার পৌরসভার কাতলাপুরের সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. বাবু ও পলাশ।
অভিযুক্তদের আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার সময় ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ জাকির হোসেনের কার্যালয়ে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।