পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়ার জেড়ে ছগীর নামের এক ব্যাক্তিকে কুপিয়ে পাঁ কাটার অভিযোগ উঠেছে কামরুল (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছগীর হোসেন (৩০) রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে ও অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে।
আহত অবস্থায় ছগীরকে রাস্তার পাশে পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত কামরুল কে আটক করেন ও আহত ছগির হাওলাদারকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে র্কতব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে প্রেম করে নারগিস আক্তারের সাথে কামরুলের বিয়ে হয়। তাদের ২ বছর বয়সী ১ টি ছেলে সন্তান রয়েছে। ছেলে সন্তান রেখে একই গ্রামের মৃত ফজলুল হকে ছেলে ও কামরুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছগীরের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়ান নারগিস আক্তার। এ নিয়ে অনেক দিন তাদের মধ্যে ঝগরাও হয়।
এব্যাপারে আটক কামরুল ইসলাম জানান,আমি কক্সবাজার থেকে বাড়ী আসলে ঘর থেকে পুরুষ মানুষের কন্ঠ পেলে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করি এরপর আমার স্ত্রী ও ছগীর কে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পেলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রাগের মাথায় কি করেছি বুঝতে পারিনি৷
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আহত ছগীরের এক আত্মীয় জানান, কামরুলের কাছে ছগীর টাকা পেত সেই টাকা নিতে বাড়ী ডাকে , এক র্পযায়ে কথার কাটাকাটি হলে কামরুল ছগীরের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে গেলে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসরিন আক্তর জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনতে পাই কামরুল কক্সবাজার থেকে রাতে বাড়ী আসে৷ বাড়ীতে এসে ছগীর ও তার বৌ নারগিস আক্তার কে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পেলে এ ঘটনা ঘটে।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান,স্ত্রীর পরকীয়া অবস্থায় তার প্রেমিককে কুপিয়ে জখম করেছেন স্বামী কামরুল ইসলাম। পুলিশের সহযোগিতায় আহত ছগির হাওলাদারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত কামরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।