রাজধানীর গ্রীন রোডে অবস্থিত ল্যাবএইড হাসপাতালের ছাদে অনুমোদনহীন রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করা এবং রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ পাওয়ায় হাসপাতালটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও গ্রীন রোডের বৌশাখী রেস্তোরাঁ, পিৎজা গ্যারেজ ও বাবু ল্যান্ড নামক আর ৩ রেস্টুরেন্ট ও প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে ঢাদসিক’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম এ আদালত পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম এ সময় গণমাধ্যমকে জানান, “রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে গ্রীন রোড সংলগ্ন ল্যাবএইড হাসপাতালে বিকেল তিনটা থেকে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী অভিযান পরিচালিত হয়েছে। হাসপাতালটির ছাদে অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে একটি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। সেজন্য ল্যাবএইড হাসপাতালকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৩টি রেস্টুরেন্ট ও প্রতিষ্ঠানে অকার্যকর ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার লাইসেন্স এবং পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা না থাকায় থাকায় সেসব প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করা হয়েছে।”
অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় ঘটানোর পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাপনায় ক্রুটি ছিলো জানিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পায় যে, ল্যাবএইড হাসপাতালে নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে হাসপাতালের ৮ম তলায় একটি রুফটপ রেস্টুরেন্ট তথা ক্যাফেটেরিয়া গড়ে তোলা হয়েছে। যেটা নকশাতে ছিল না। পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাতেও আমরা ক্রুটি পেয়েছি। রান্নাঘরে ব্যবহারের জন্য সিঁড়ির পাশে রক্ষিত ৫টি গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে ১টি সিলিন্ডারে লিকেজ পাওয়া গিয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সার্বিকভাবে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই, ল্যাবএইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৩টি রেস্টুরেন্ট ও প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে আজকের অভিযানে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন, ২০০৩ এর ১৮ ধারা অনুযায়ী এ জরিমানা করা হয়েছে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণমাধ্যমেকে জানান।
অভিযানের শুরুতে গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রবেশ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ক্যাফেটেরিয়ায় রান্নার পরিবেশসহ সার্বিক বিষয় পরিদর্শন করে সেখানে সন্তোষজনক পরিবেশ পাওয়ায় সেন্ট্রাল হাসপাতালকে কোনো জরিমানা করেনি আদালত। এরপরে ল্যাবএইড হাসপাতালসহ আরও ৪টি প্রতিষ্ঠান ও রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে অন্যান্যের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।