বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ও পাইকারি পর্যায়ে ৫ দশমিক ০৭৪ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম ১লা ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
তিনি বলেন, পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ০৭৪ শতাংশ। এতে প্রতি ইউনিটের গড় দর স্থির হয়েছে ৭ টাকা ০৪ পয়সায়। আগে যা ছিল ৬ টাকা ৭০ পয়সা। পাশাপাশি খুচরা পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তাতে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের গড় দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৮ টাকা ৯৫ পয়সা। আগে তা ছিল ৮ টাকা ২৫ পয়সা।
এর আগে নসরুল হামিদ জানিয়েছিলেন, ১ মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়বে। তবে আগেই তা বাড়ানো হলো। এর প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, যেকোনো সমন্বয়ের প্রভাব পড়বে। তবে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দর ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা বাড়ছে। সেটা খুবে বেশি নয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ। আর যারা বেশি করেন, তাদের জন্য ৮ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ছে। ২/১ দিনের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দরে বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয়। ঘাটতি মেটাতে মূল্য সমন্বয় করা হচ্ছে। আগামী তিন বছর ধাপে ধাপে যা হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, গত অর্থবছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। এখন উৎপাদন খরচ প্রায় ১২ টাকা। আর গ্রাহক দিচ্ছে ৮ টাকা ইউনিট। ঘাটতি অনেক, তাই দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। তবে তা খুবই কম পরিমাণে।
তিনি বলেন, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সময় মার্কিন ডলারের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা ধরে হিসাব করা হয়েছিল। এখন সেটার মান ৪০ টাকা বেড়ে গেছে। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। জ্বালানি খরচের ওপর ভিত্তি করে সারা বিশ্বেই দাম সমন্বয় করা হয়।
গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দর প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়ায় সরকার। একইসঙ্গে কল-কারখানায় ব্যবহার করা ক্যাপটিভ বিদ্যুতের ঘনমিটারপ্রতি গ্যাসের মূল্য ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়।
এসআর