বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র বন্দর-পতেঙ্গা ১১ আসনে এবারো হতাশায় নিমজ্জিত হতে হল প্রবীণ, বর্ষীয়ান ও জেল-জুলুমে নির্যাতিত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ -সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। চট্টগ্রাম ১১ আসন থেকে এই ত্যাগী নেতা বার বার মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে খালি হাতে ঢাকা থেকে ফিরতে হচ্ছে।
চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজের সমস্যা নিয়ে সমাধান কল্পে সবসময় রাজনীতিতে সরব থেকে দলমতের উর্ধ্বে আলাদা একটা ব্যক্তি ইমেজ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারের মতই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও হতাশ হতে হল খোরশেদ আলম সুজনকে ৩ বারের সংসদ সদস্য এম এ লতিফের কাছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নির্বাচনেও মনোনয়ন পেয়েও হাত ফসকে যায় নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনের।
এবারো বন্দর-পতেঙ্গা ১১ আসনে মনোনয়ন পান চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ। ২০০৮ সালের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে প্রথম আওয়ামী লীগে সক্রিয় হন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য।
চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা, কর্ণফুলী ইপিজেড, তৈল শোধানাগার, বিমান বন্দরসহ বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র এই আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীনসহ অনেকেই। গুরুত্বপূর্ণ এই আসন থেকে বিএনপি থেকে বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় এবারো আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত কারণ বিএনপি ছাড়া আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত প্রার্থী কেহ নাই।
এনপি