নওগাঁর মহাদেবপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি জীপ গাড়ির সাথে একটি বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ পাঁচ জন মারাত্মক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চার জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার মহাদেবপুর-নওগাঁ পাকা সড়কের তেরমাইল নামক স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব ভোদন, তার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মুছা আল আশআরী, উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি জীপ গাড়ির চালক উপজেলা সদরের পুরাতন হাসপাতাল পাড়ার রমজান আলীর ছেলে সবুজ হোসেন, ভীমপুর ইউনিয়নের চকরাজা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান ও উপজেলা সদরের দুলাল পাড়ার শ্রী অমল চন্দ্র বর্ম্মণের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা শ্রী হিমু চন্দ্র বর্ম্মণ।
প্রত্যক্ষদর্শী হিমু জানান, তারা উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়িযোগে (নওগাঁ-স-১১-০০৩৩) নওগাঁর দিকে যাচ্ছিলেন। তারা তেরমাইল নামক স্থানে পৌঁছালে একটি বালুবাহী দ্রুতগামী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-০৬৫৮) পিছন দিক থেকে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ির সামনে দিকে ধাক্কা দেয়। এতে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ওই গাড়ির পাঁচ আরোহীর সকলেই আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে চার জনের অবস্থার অবনতি ঘটায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হিমুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
দূর্ঘটনার পর পরই বালুবাহী ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়। এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলের দুপাশে সৃষ্টি হয় মারাত্মক যানজটের।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করছে। মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের একটি টিমও ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
দূর্ঘটনার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভীড় জমান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহাগও হাসপতালে আসেন।