নির্বাচনের আগে যেমন কথা দিয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই কাজ শুরু করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েই নিজ শহরের পরিত্যক্ত খোয়াই নদী পরিষ্কারে নেমেছেন সুমন। এর মধ্য দিয়ে তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের কার্যক্রম শুরু করলেন।
শুক্রবার সকাল থেকেই তিনি নিজের শহর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌর এলাকায় পরিত্যক্ত খোয়াই নদীতে জমে থাকা ৫০ বছরের আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেন। এতে সহায়তা করছেন বিডি ক্লিন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েকশ কর্মী।
কার্যক্রমের শুরুতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, এটি খোয়াই নদীর অংশ বিশেষ। প্রায় ৫০ বছর আগে চুনারুঘাট শহরকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে এটির গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। তখন থেকেই নদীর এ অংশটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। পুরাতন খোয়াই নদীর এ অংশটি ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়। অথচ এটি খুব সুন্দর একটি পর্যটনকেন্দ্র হতে পারত। কিন্তু ময়লার কারণে বোঝার কোনো অবকাশ নেই এটি কোনো নদী।
তিনি বলেন, নদীটি পরিষ্কার করার মাধ্যমেই আমার কাজের যাত্রা শুরু করতে চাই। কারণ ময়লা পরিষ্কার না করলে হঠাৎ করেই সৌন্দর্যের বাণী দেওয়া যায় না। আমার স্বপ্ন হচ্ছে— এখানে দুপাশে ওয়াকওয়ে করব। নৌকা নামিয়ে দেব। এগুলো দিয়ে মানুষ ঘুরবে।
ব্যারিস্টার সুমন জানান, নদীটি পরিষ্কারে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন প্রায় ৬০০ কর্মী দিয়েছে। তারা নদীটি পরিষ্কার করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। তাদের তিনি ধন্যবাদ জানান।
চুনারুঘাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চুনারুঘাট পৌরসভার বয়স প্রায় ২০ বছর। শুরু থেকেই পৌরসভার সব ময়লা নদীর এ অংশে ফেলা হচ্ছে। যেন এটিকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। ময়লা-আবর্জনার কারণে নদীর কোনো চিহ্ন নেই। নদীটি পরিষ্কার হলে চুনারুঘাট শহরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে। আমরা এ কাজের জন্য নবনির্বাচিত এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ধন্যবাদ জানাই।
এসআর