ঢাকাMonday , 9 September 2024
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তারাকান্দায় আ’লীগ নেতার মৃত্যুর জেরে বাড়িতে হামলা

ফজলে এলাহি ঢালী
মার্চ ১৯, ২০২৪ ৬:৪৭ অপরাহ্ণ । ৮৬ জন
link Copied

পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাগ্নে আশিকের(২৫) লাঠির আঘাতে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় কামারগাঁও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিনের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় ভাগ্নের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার(১৯ মার্চ)দুপুর ১ টায় এই হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

কামারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান উজ্জ্বল জানান, সকাল ১১ টায় পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী শহীদস্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিহত আ’লীগ নেতা নূরুল আমিনের জানাজার নামায শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় তারাকান্দা উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ জানাজার নামায শেষে লাশ দাফনের পর যার যার কাজে চলে যাই। এরপর দুপুরে শুনতে পাই নূরুল আমিনের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ভাগ্নে আশিকদের বাড়িতে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করেছে। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রশাসনের লোকজনসহ ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নির্বাপনে সহযোগিতা করি।

এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, লাশ দাফনের পর দুপুর ১ টায় উত্তেজিত জনতা ভাগ্নে আশিকদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তবে কারা হামলা করেছে এমন প্রশ্নে তারা কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। এ সময় ভাগ্নে আশিকদের বাড়িতেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়াজেদ আলী জানান, গত ১১ মার্চ পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাগ্নে আশিক, তার পিতা নূরুল আমিন ও মাতা আম্বিয়া খাতুনের সাথে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আহত হয়ে ঢাকায় নিউরোসাইন্স হাসপাতালে মারা যান নূরুল আমিন। ১৯ মার্চ সকাল ১১ টায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। লাশটি দাফনের পর দুপুর ১ টায় কে বা কারা আশিকদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। বিষয়টি জানার পর আমি নিজে থানা পুলিশের অন্যান্য অফিসারদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পাশাপাশি তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজনীন সুলতানা মহোদয় এবং এএসপি ফুলপুর সার্কেল আতাহারুল ইসলাম মহোদয়ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এদিকে ফায়ার সার্ভিস (ফুলপুর)এর সদস্যদের চেষ্ঠায় বিকাল ৩ টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

এ সময় ওয়াজেদ আরও বলেন, আশিকদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নূরুল আমিনের মৃত্যুর ব্যাপারেও থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।আইননানুগ প্রক্রিয়া চলমান আছে।

সরেজমিন পরিদর্শন শেষে দেখা গেছে, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ফলে বাড়িটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বাড়িটির সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পাশাপাশি টিনের তৈরী রান্নাঘর, গোয়ালঘর আগুনে পুড়ে মাটিতে পড়ে আছে। ফায়ার সার্ভিস আসার পূর্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালেও স্থানীয়রা আগুন নিভাতে এগিয়ে আসেনি। আবার কেউ কে বা কারা এই কান্ড ঘটিয়েছে তাও বলতে রাজি হননি।