ঢাকাSaturday , 27 July 2024
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সংক্ষুব্ধরা ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালতে যেতে পারবেন: সিইসি

বাংলা ডেস্ক
জানুয়ারি ৮, ২০২৪ ৬:২১ অপরাহ্ণ । ১০৮ জন
link Copied

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ফলাফল নিয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালতে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষাণা করেন তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনে বেসরকারি ফলাফলে নৌকা ২২৩, লাঙ্গল ১১, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১, (নৌকা) জাসদ ১, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬১টি আসনে জয় লাভ করেছেন। ২৯৮টি আসনের ফলাফল বেসরকারিভাবে জানানো হলো।

সিইসি বলেন, এ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১৯৬০ জন। ফলাফল আমাদের হাতে আছে, এ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪৫ জন। কেউ সংক্ষুব্ধ হলে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালতে যাবার সুযোগ থাকবে। আবার ময়মনসিংহ-৩ বন্ধ একটি কেন্দ্রের ভোট ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে আমাদের দুইজন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা কাজ করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন’, যোগ করেন তিনি।

এর আগে দুপুর একটার দিকে সিইসি সংবাদ সম্মেলেন বলেন, এ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেউ যদি মনে করেন এ তথ্যে ভুল হয়েছে; তিনি চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। ভোটের এ হার নিয়ে সমালোচনাকারীদের তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ দেয়া হলো।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জাপানি পর্যবেক্ষক দল সুনাম করেছে বলেও জানান হাবিবুল আউয়াল।

এ নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুললেও সাংবাদিকদের বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন সিইসি। তিনি বলেন, তখন ছিল দুপুর দুইটা পর্যন্ত দেয়া তথ্য। তবে ২৯৮টি কেন্দ্রের চূড়ান্ত ফল বিশ্লেষণ করে মোট ভোটের হার ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ পাওয়া গেছে।

এর আগে গতকাল রোববার ভোটগ্রহণ শেষে সিইসি সাংবাদিকেদের বলেন, সারা দেশে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখনও অনেক হিসাবনিকাশ আছে। সেটা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

সিইসি বলেন, ২৯৯টি আসনে সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করেছেন। আমরাও পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শনও করেছি। গুরুতর সহিংসতা ঘটেনি। নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।

সিইসি আরও বলেন, ‘নির্বাচন শেষে স্বস্তির বিষয় হলো- এ নির্বাচনে সহিংসতায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কিছু কেন্দ্রে ভোট কারচুপি এবং সিল মারারা চেষ্টা করা হয়েছিল; সেটা প্রতিরোধ করা হয়েছে। অনেক প্রার্থীর ভোটের অনিয়মের কারণে কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।’

গতকাল ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ।

এসআর