মাদারীপুরের কালকিনিতে এক অসহায় শিক্ষিকার পরিবারের বসতঘরে তালা মেরে জিম্মি করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টা পরে স্থানীয় জনসাধারন তাদেরকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় রোববার সকালে ভূক্তভোগী ওই শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার সাহেবরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগীর অভিযোগ ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর এলাকার ওই শিক্ষিকার সাখে কালকিনি পৌর এলাকার উত্তর রাজদী গ্রামের নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে খোকনের সাথে প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরে ওই শিক্ষিকা তার স্বামীকে প্রায় তিন মাস আগে তালাক প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষিকার বসতঘরের কেঁচি গেটে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তালা মেরে রাখে তার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী। এতে করে ওই শিক্ষিকার পরিবারের সকল সদস্যরা জিম্মি হয়ে পরেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহিম মুরাদ সরদারের সহযোগীতায় রাত ৯টার দিকে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফেরদাউস আলম সরদার ও সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান স্থানীয় লোকজনদেরকে নিয়ে ওই শিক্ষক পরিবারের বসতঘরের কেঁচি গেটের তালা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করেন।
ভূক্তভোগী শিক্ষিকা কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামীর অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে তাকে আমি তালাক দিয়েছি। তাই সে আমার বাবার বসতঘরে তালা মেরে আমাদের হত্যার চেষ্টা চালায়। আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করবো।
এই ঘটনা জানার জন্য খোকনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নি।
ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফেরদাউস আলম সরদার বলেন, শিক্ষক পরিবারকে জিম্মি করে রাখার বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় আমরা তালা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করেছি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষিকার বসতঘরে তালা মেরে জিম্মি করার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তবে এর আগেও ওই শিক্ষিকার তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএইচএস/এসআর