ময়মনসিংহের তারাকান্দায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাগ্নের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত উপজেলার কামারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.নূরুল আমিন(৪৫)ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেছেন। নিহত নূরুল আমিন উপজেলার কামারগাঁও ইউনিয়নের মো. জাবেদ আলীর ছেলে এবং ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার(১৮ মার্চ)সকাল সাড়ে ৫ টায় ঢাকায় নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নূরুল আমিনের।
ভিকটিম নূরুল আমিনের পিতা জাবেদ আলী (৯০) জানান, গত ১১ মার্চ বিকাল সাড়ে ৪ টায় আমার মেয়ের জামাই নূরুল আমিন ফরায়জি(৭০) ও আমার মেয়ে আম্বিয়া খাতুন(৫০)-র সাথে চলাচলের রাস্তায় বেড়া দেওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এই ঘটনার পূর্বে আমার মেয়ে বাড়ির পিছনের অংশে ধানের জমিতে যাওয়ার রাস্তায় বেড়া স্থাপন করে আমার ছেলে নূরুল আমিনকে এদিক দিয়ে যেতে নিষেধ করে। নূরুল আমিন এ সময় প্রতিবাদ করে এবং কেন বেড়া দিয়েছে এই কারণ জিজ্ঞেস করলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত আমার নাতি আশিক মিয়া (২৫) উত্তেজিত হয়ে পাশে থাকা বাগানের চারাগাছ কেটে ফেলতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার নাতি লাঠি দিয়ে আমার ছেলেকে এলোপাথারি পিটাতে শুরু করে।তখন আমার ছেলের বউ এবং আমি বাঁধা দিতে গেলে আমাদের উভয়কেই গুরুতরভাবে আহত করে মেয়ের জামাই নূরুল আমিন, মেয়ে আম্বিয়া খাতুন ও নাতিন আশিক মিয়া। এ সময় গুরুতর আহত আবস্থায় স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে আমার ছেলে নূরুল আমিনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে কর্তব্যরত চিকৎসকরা ঢাকায় নিউরোসাইন্স হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৫ টায় মারা যায় নূরুল আমিন।
এ বিষয়ে কামারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান উজ্জ্বল জানান, আশিক মিয়া এলাকায় উগ্র মেজাজ নিয়ে চলাফেরা করে। সে কাউকে পরোয়া করেনা। নূরুল আমিনের মৃত্যুর পর আশিক মিয়া মোবাইল ফোনে আমাকেউ হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, নূরুল আমিনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় আশিক মিয়া (২৫), তার পিতা নূরুল আমিন ফরায়জি (৭০)এবং মা আম্বিয়া খাতুন (৫০)কে আসামী করে নিহত নূরুল আমিনের স্ত্রী শবনম আক্তার বিগত ১৬ মার্চ থানায় জিআর মামলানং-১৬ দায়ের করেন।
এদিকে ১৮ মার্চ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরুল আমিনের মৃত্যুর সংবাদে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিষয়টিকে আইনগতভাবে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্তকাজ পরিচালনা করছে তারাকান্দা থানা পুলিশের সদস্যরা। সকল আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়মনাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।