ঈদুল ফিতরের যাতায়াতে সারাদেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ঘটা এসব সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বিআরটিএর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
তিনি জানান, গত ৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২০ জনের মৃত্যু এবং ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ঈদ পূর্ববর্তী অর্থাৎ ৪ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ১১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৭ জন নিহত ও ২০৬ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ঈদ পরবর্তী অর্থাৎ ১২ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ১৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৬ জন নিহত ও ২৩৩ জন আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭৩ জন, চট্টগ্রামে ৪৭ জন, রাজশাহীতে ৪৩ জন, খুলনায় ৩১ জন, বরিশালে ৩৪ জন নিহত, সিলেটে ১৭ জন, রংপুরে ২০ জন এবং ময়মনসিংহের ৩০ জন।
এর আগে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি জানায়, এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক ও মহাসড়কে ৩৯৯টি দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক হাজার ৩৯৮ জন।
এ ছাড়া একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে সারাদেশে ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।
সড়কে যে আইন আছে সেটি না মানলে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
তিনি বলেন, আমাদের সামজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হনে। এই সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাহলে দুর্ঘটনা কমবে।
বিআরটিএর বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে একটি যানজটমুক্ত ঈদযাত্রা উপহার দেওয়া সম্ভব হলেও দুটি বড় সড়ক দুর্ঘটনা এ সফলতাকে কিছুটা ম্লান করেছে বলেও জানান তিনি।
এসআর